একের পর এক মন্ত্রী ইস্তফা দিলেও গদি ছাড়তে নারাজ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ ইস্তফা দেওয়ার পরে মন্ত্রিসভা ছেড়েছেন আরও পাঁচ সদস্য। যদিও তাতে বিন্দুমাত্র বিচলিত নন বরিস। উল্টে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ২০১৯-এর ভোটের ফলাফল বলে দিয়েছে যে জনগণ তাঁকেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান। ফলে ইস্তফা দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।


আরও পড়ুন:পিছু ছাড়ছে না করোনা! সংক্রমণ ঊর্ধ্বমূখী হতেই চিনে ফের শুরু লকডাউন


বুধবার অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ ইস্তফা দেওয়ার পরে আজ ইস্তফা দিয়েছেন মন্ত্রিসভার আরও পাঁচ সদস্য। তাঁরা হলেন— নগরোন্নয়ন মন্ত্রী জন গ্লেন, ন্যায় দফতরের প্রতিমন্ত্রী ভিক্টোরিয়া অ্যাটকিন্স, পার্লামেন্ট ও বাণিজ্য দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ফেলিসিটি বুকান, পরিবার ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী উইল কুইন্স এবং ক্যাবিনেটের আর এক মন্ত্রী লরা ট্রট। এই পাঁচ জনের মধ্যে উইল কুইন্স জনসন-ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। ইস্তফা দেওয়ার পরে কুইন্স টুইটারে লিখেছেন, ‘‘ভারাক্রান্ত মনে আজ প্রধানমন্ত্রীর কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি। মন্ত্রিত্ব সামলানোর মতো ভাল কাজ আর হয় না। আমার উত্তরসূরিকে শুভেচ্ছা জানাই।’’


এদিন প্রধানমন্ত্রী জনসন পার্লামেন্টের প্রশ্নোত্তর অধিবেশনে বলেন, ‘‘কঠিন সময়েও অবিচল থাকা এক জন প্রধানমন্ত্রীর কর্তব্য। আমি সেই দায়িত্বই পালন করছি। তা ছাড়া, ২০১৯-এর নির্বাচনে দেশের মানুষ আমাকে বিপুল ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছেন। যা থেকে স্পষ্ট, তাঁরা আমাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান।’’
এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মুখে দাঁড়িয়ে ব্রিটিশ রাজনৈতিক মহলের অনুমান, ঋষি এবং সাজিদ হাত মিলিয়ে নেওয়ায় জনসনের পক্ষে সরকার টিকিয়ে রাখা যথেষ্ট কঠিন হবে। এই আবহে নিজের অনুগত নাদিমকে গুরুত্বপূর্ণ অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব সামলাতে দিয়েছেন বরিস জনসন। ৫৫ বছর বয়সী জাহাউই বিশিষ্ট পোলিং কোম্পানি YouGov-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা। ২০১০ সালে এমপি হওয়ার আগে লন্ডনে স্থানীয় কনজারভেটিভ রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন তিনি।





































































































































