সুমন করাতি
ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন ট্রেনের চালক হবেন।কিন্তু বাস্তবে সে ইচ্ছা সম্পূর্ণ হয়নি।মনের সেই ইচ্ছাপূরণ করতে ঘরেই আস্ত ট্রেন তৈরি করে ফেলেছেন হুগলির শ্রীরামপুরের প্রভাস আচার্য। আর্থিক সংকটের কারণে পড়াশোনা বেশি দূর এগোতে পারেননি। ফলে ট্রেনচালক এই জীবনে আর হয়ে ওঠা হয়নি। কিন্তু অদম্য ইচ্ছাশক্তির জেরে গোটা ট্রেনটাই নিজের বাড়িতে নিয়ে এসেছেন প্রভাসবাবু।
শুনলে অবাক হবেন, পূর্ব রেলের লোকাল ট্রেন এখন প্রভাসবাবুর বাড়িতেই চলছে। কোথায় দাঁড়াবে, কোথায় চলবে পুরো দায়িত্বটাই প্রভাসবাবু নিজের হাতে সামলাচ্ছেন। মডেল সেই ট্রেনে রয়েছে সাধারণ ট্রেনের মতোই সব কিছু। কামরার ভিতরে উপরের হাতল, বসার আসন, জানালা, সামনের বাফার, সিগন্যাল লাইট-সহ সমস্ত কিছু।
আরও পড়ুন- বিধানসভায় শ্যামাপ্রসাদের জন্মজয়ন্তী পালনেও নেই বিজেপি! তীব্র নিন্দা স্পিকারের
শ্রীরামপুরের বাসিন্দা বছর ৬৫-র প্রভাস আচার্যর বাড়িতে এখন কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে কু….ঝিক-ঝিক শব্দ।সম্পূর্ণ ইস্পাতের তৈরি, লোহার চাকা সমৃদ্ধ মডেল এই ইলেকট্রিক ট্রেন বেশ কয়েকটি বিক্রিও করেছেন প্রভাসবাবু। কিন্তু বড় করে প্রকল্পটির ব্যাবসায়িক রূপ দেওয়ার আর্থিক ক্ষমতা তাঁর নেই। তাই তিনি চান এই প্রকল্পের ব্যবসায়িক রূপ দিতে কোনও উদ্যোগপতি এগিয়ে আসুক। সেই স্বপ্ন নিয়েই বাড়িতে তিনি চড়কা চালিয়ে যাচ্ছেন।অবসর সময়ে পুরোহিতের পেশাও সামলাচ্ছেন। তবে চড়কার চাকায় খোলা চোখ হোক কিংবা পুরোহিতের প্রার্থনার বন্ধ চোখ দু’চোখেই নিজের ট্রেন শিল্পে বিপ্লবের স্বপ্ন দেখে চলেছেন প্রবীণ যুবক প্রভাস আচার্য।