বামপন্থী দলে নেতা বড় নাকি নীতি? উত্তর ২৪ পরগণা জেলা কমিটি গঠন নিয়ে সিপিএমের অন্দরে মাথাচাড়া দিয়েছে জোর বিতর্ক। সেলিম সাহেবদের নেতৃত্বে “নীতি”কে ধরে রাখতে নেতাকেই বিসর্জন দিল দল।
আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তর হেঁশেলে টান! ফের বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম
বিতর্কর সূত্রপাত উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে দলের প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য ও অশোকনগরের নেতা বাবলু করের নাম থাকা নিয়ে। দলের একটি বড় অংশ প্রশ্ন তোলে, হোলটাইমার না হওয়া এই দুই নেতা কীভাবে জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে? যা দলের নীতির পরিপন্থী।
পরে তন্ময়বাবুকে সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য পদ থেকে সরিয়ে আমন্ত্রিত সদস্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু তাতে চিড়ে ভেজেনি। সেলিম-সুজনদের বৈঠক থেকে রাজনীতি না করার ইচ্ছাপ্রকাশ করে বেরিয়ে যান তন্ময় ভট্টাচার্য।
অন্যদিকে প্রশ্ন উঠেছে, দলের নিয়ম ছিল, কেউ চাকরি ছেড়ে
সর্বক্ষণের কর্মী হতে চাইলে পার্টি তাঁকে যোগ্য সম্মান দেবে। আর সেই জায়গাতেই রাজ্য নেতৃত্বের দ্বিচারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সিপিএমের অন্দরে। তন্ময় ভট্টাচার্য ব্যাংকের কর্মী ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি হোলটাইমার হন। দার্জিলিং জেলায় জীবেশ সরকার কোন ফর্মুলায় জেলা সম্পাদক হলেন সেই প্রশ্নও তুলছেন পার্টির একাংশ। জীবেশবাবুও ব্যাংকে চাকরি করতেন। পরবর্তীকালে তিনিও চাকরি ছেড়ে দলের দলের সর্বক্ষণের কর্মী হন। তাহলে তন্ময় বাবু নন কেন? বিতর্ক আরও বেড়ে যায় সত্যসেবী কর জেলা সম্পাদক মন্ডলীতে জায়গা পাওয়ায়। কারণ, সত্যসেবীবাবুও SBSTC-তে কাজ করতেন। পরে চাকরি ছেড়ে হোলটাইমার হন।
চাকরি করা ব্যক্তি পরে সিপিএমের হোলটাইমার হয়ে কখনও জেলা সম্পাদক আবার কখনও সম্পাদক মণ্ডলীতে জায়গা পেয়েছেন। তন্ময়বাবু নিজেও একটি সময় জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। এমন ভুরি ভুরি উদাহরণগুলি আছে। এখন প্রশ্ন, তাহলে হঠাৎ কেন তন্ময় ভট্টাচার্যর ক্ষেত্রে নিয়মের বদল ঘটালেন মহম্মদ সেলিমরা? রাজনৈতিক মহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, সিপিএমের পরিচিত মুখগুলিকে সরিয়ে রাজ্য সম্পদক নিজেদের পেটুয়া লোকেদের নিয়ে আলিমুদ্দিন কুক্ষিগত করতে চাইছেন।