বন্ধ হোক অপরাধীদের সঙ্গে রাজনীতিবিদদের যোগসাজশ: পর্যবেক্ষণ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

0
1

অপরাধীদের সঙ্গে রাজনীতিবিদদের যোগসাজশ ভারতের এক জ্বলন্ত সমস্যা। এই দুই ক্ষেত্রের অশুভ আঁতাত চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই। নেতার ছত্রছায়ায় ফুলে ফেঁপে উঠতে দেখা গিয়েছে বহু অপরাধীকে(Criminal)। এই বিষয়টি নিয়েই এবার উদ্বেগ প্রকাশ করল খোদ আদালত। সম্প্রতি এলাহাবাদ হাইকোর্ট(Elahabad High Court) তার পর্যবেক্ষণে জানালো, আমাদের দেশে অপরাধী এবং রাজনীতিবিদদের মধ্যে একটা অশুভ আঁতাঁত চলছে। যেটা বন্ধ হওয়া দরকার।

সম্প্রতি এক মামলার পর্যবেক্ষণে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, “কেউ অস্বীকার করতে পারবে না যে আজকের দিনে রাজনীতি অপরাধীতে ছেয়ে গিয়েছে। ব্যক্তি রাজনীতি, বাহুবল, টাকা, নেটওয়ার্ক, রাজনীতি এবং অপরাধজগতের আঁতাঁত এসবই সুস্থ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং আইনের শাসন স্থাপন করার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আজকের দিনে লোকসভা, বিধানসভা থেকে শুরু করে পঞ্চায়েতের মতো স্থানীয় নির্বাচনও প্রচুর ব্যয়বহুল।” আদালত স্পষ্টভাবে জানায়, “সংগঠিত অপরাধ, রাজনীতিবিদ এবং আমলাদের মধ্যে একটা অশুভ আঁতাঁত তৈরি হয়েছে। যার জেরে প্রশাসন এবং বিচারব্যবস্থার উপর মানুষ আস্থা হারাচ্ছে।”

আদালতের এই পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে বিএসপি (BSP) সাংসদ অতুল কুমার সিংয়ের বিরুদ্ধে ওঠা এক মহিলাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে। এই মামলায় ওই সাংসদের জামিনের আবেদন নাজক করার পাশাপাশি অতুলের মতো লোকেদের রাজনীতি থেকে বিতাড়ণের পক্ষে সওয়াল করে সংসদের কাছে রাজনীতিকে অপরাধমুক্ত করার আরজি জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্ট জানায়, এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আগে হস্তক্ষেপ করার আরজি জানালেও সংসদ বা নির্বাচন কমিশন কেউই কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। যার ফলাফলও উঠে এসেছে এদিন। আদালত জানায়, ২০০৪ সালে যেখানে ২৪ শতাংশ লোকসভা (Lok Sabha) সাংসদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ছিল, সেখানে ২০০৯ সালে সাংসদদের মধ্যে অপরাধে জড়িত ছিলেন ৩০ শতাংশ, ২০১৪ সালে সংখ্যাটা বেড়ে হয় ৩৪ শতাংশ। ২০১৯ সালে সেটা আরও বেড়ে হয় ৪৩ শতাংশ।