মুখ্যমন্ত্রী হতে না পেরে অভিমানে ফুঁসছেন ফড়ণবীশ, দাবি শরদ পাওয়ারের

0
2

মহারাষ্ট্রে মহানাটকের শেষে চওড়া হাসি দেখা গিয়েছিল তাঁর মুখে। ভেবেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্বের মাস্টার স্ট্রোকে এবার আর মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসা হল না দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের মোদি-শাহ-নাড্ডাদের নির্দেশে আপাতত উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে তাঁকে। এবং শীর্ষ নেতৃত্বের এমন সিদ্ধান্তে মুখে কিছু না বললেও ভিতরে ভিতরে অভিমানে ফুঁসছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ, সেটা নাকি তাঁর শারীরী ভাষাতেই স্পষ্ট। মুখ্যমন্ত্রী হতে না পেরে খুব হতাশ দেখিয়েছে ফড়ণবীশকে। এমনই জোরালো দাবি করলেন দেশের অন্যতম বর্ষীয়ান ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ তথা এসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার।

এনসিপি প্রধান দাবি করেছেন যে একনাথ শিন্ডের সরকারে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করার সময় বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ একেবারেই খুশি ছিলেন না। তাঁর কথায়, “আমি মনে করি ফড়ণবীশ খুব আনন্দের সঙ্গে দ্বিতীয়পদ গ্রহণ করেননি। তার মুখের অভিব্যক্তি সব বলে দিয়েছে। তিনি নাগপুর থেকে এসেছেন এবং তিনি স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করেছেন এবং সেখানে যখন কোনও আদেশ আসে, তখন তা অনুসরণ করতে হবে।”

শারদ পাওয়ারের আরও যুক্তি, “উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণার পর গুয়াহাটিতে ক্যাম্প করা একনাথ শিন্ডের সঙ্গে বিদ্রোহী বিধায়কেরা কখনও আশা করেননি তাঁদের নেতা মুখ্যমন্ত্রী হবে। কিন্তু বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ দেওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রীর পদটি শিন্ডেকে দেওয়া হয়। এ সম্পর্কে শিন্ডের নিজেরও কোনও ধারণা ছিল বলেও মনে করি না। আমি সত্যিই অবাক, দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ পাঁচ বছর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাজ করেছিলেন এবং তারপরে বিরোধী নেতা ছিলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ অনুসারে উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিতে হল তাঁকে। এবং তিনি নিজেও নিশ্চয় অবাক হয়েছেন শীর্ষ নেতাদের সিদ্ধান্তে। সেটা তাঁর চোখেমুখে স্পষ্ট। ”

আরও পড়ুন:দেশের অশান্তির জন্য নূপূর শর্মাকেই দায়ী করল সুপ্রিম কোর্ট