“সাংবাদিকরা যা লেখেন, টুইট করেন এবং যা বলেন তার জন্য জেলে যাওয়া উচিত নয়।” মঙ্গলবার একথা জানালেন রাষ্ট্রসংঘের(United Nation) প্রধান আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। রাষ্ট্রসংঘের সদর দপ্তরে দৈনিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ভারতে অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবায়েরকে(MD Zubair) গ্রেফতারের প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানালেন, “জনগণকে কোনও হয়রানির হুমকি ছাড়াই স্বাধীনভাবে নিজেদের মত প্রকাশ করার অনুমতি দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।”
ফ্যাক্ট-চেকিং ওয়েবসাইট অল্ট নিউজ এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবাইরকে সোমবার দিল্লি পুলিশ তার ২০১৮ সালে পোস্ট করা একটি টুইটের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে। জুবাইরের গ্রেফতারের প্রতিক্রিয়ায়, স্টিফেন ডুজারিক বলেন, “বিশ্বের যে কোনো জায়গায়, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মানুষকে স্বাধীনভাবে নিজেকে প্রকাশ করার অনুমতি দেওয়া। সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে এবং কোনও হুমকি, হয়রানি ছাড়াই নিজেকে প্রকাশ করার অনুমতি দেওয়া। সাংবাদিকরা যা লেখেন, কি টুইট করেন এবং যা বলেন তার জন্য জেলে যাওয়া উচিত নয়। এবং এটি এই কক্ষ সহ বিশ্বের যে কোনও জায়গায় প্রযোজ্য।”
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় “অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, জালিয়াতি এবং আদালতে নিরপরাধ ব্যক্তিদের হেনস্থা করার জন্য মিথ্যা প্রমাণ দেওয়ার” অভিযোগে গুজরাট কর্তৃপক্ষ তিস্তা শিতলবাদকে গ্রেপ্তার করার দুদিন পরেই জুবাইরকে গ্রেফতার করে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা সামাজিক কর্মী শিতলবাদের গ্রেফতারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং তাঁর অবিলম্বে মুক্তির আবেদন জানিয়েছে। মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা টুইট বার্তায় বলে, “ভারতে তিস্তা শিতলবাদ এবং দুজন প্রাক্তন পুলিশ অফিসারের গ্রেফতারের ঘটনায় আময়া উদ্বিগ্ন। এবং তাদের অবিলম্বে মুক্তির আবেদন জানাই। ২০০২ সালে গুজরাট হিংসায় আক্রান্তদের পক্ষে সরব হওয়ার জন্য তাদের নির্যাতন করা কখনই উচিত নয়।”
২০০২ সালের গুজরাট হিংসা মামলায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অন্যান্যদের আদালতের তরফে ক্লিন চিটকে দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশের একদিন পরই গুজরাট পুলিশের তরফে গ্রেফতার করা হয় তৎকালীন সময়ে নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতায় সরব হয়ে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানো সমাজকর্মী তিস্তাকে। শুধু তাই নয়, গুজরাট পুলিশের প্রাক্তন ডিজি শ্রীকুমার এবং আইজি সঞ্জীব ভাটের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করা হয়।