রাজ্য বিজেপির বর্তমান সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যে একটি সময় তৃণমূল অধ্যাপক সংগঠনের সক্রিয় সদস্য ছিলেন একথা কারও অজানা নয়। এমনকী, সুকান্তবাবু তৃণমূল অধ্যাপক সংগঠনের ছত্রছায়ায় থেকে সেমিনার, মিটিং, মিছিল সবই করেছেন। এবার বিজেপি রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে “ম্যানেজ” করে নিজের স্ত্রীকে বাড়ির পাশের স্কুলে বদলি করানোর মতো গুরুতর অভিযোগ উঠল। অভিযোগ তুলেছে বঙ্গ বিজেপিতে সুকান্ত গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীরা।

বছর তিনেক আগের ঘটনা। তখন মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলপন্থী অধ্যাপক ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। সেই সময় তাঁর স্ত্রী কোয়েল চৌধুরী মালদহের একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। একই এলাকায় কর্মজীবন থাকায় পরিবার নিয়ে মালদহের ফ্ল্যাটেই থাকতেন মজুমদার দম্পতি। কিন্তু ২০১৯ সালে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর নিজের জেলা বালুরঘাটেই ফিরে যান সুকান্তবাবু। আর সরকারি চাকরির কারণে কোয়েলদেবীকে মালদহতেই থাকতে হয়। জানা যায়, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে বিজেপির তরফে শিক্ষিকা কোয়েলদেবীর বদলির আবেদন জমা পড়ে। এরপরই বাড়ির কাছে বালুরঘাটের সানাপাড়া হাইস্কুলে বদলি হয়ে যান সুকান্ত মজুমদারের স্ত্রী কোয়েলদেবী।

যদিও বিজেপির কোন মহল থেকে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে সুকান্ত মজুমদারের স্ত্রীর বদলির আবেদন গিয়েছিল, সেটা নাকি জানেনই না তৎকালীন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে পার্টির অন্দরে তখন সুকান্ত মজুমদারের স্ত্রীর বদলির বিষয়টি নিয়ে যে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে, সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন দিলীপবাবু। অন্যদিকে, সুকান্ত মজুমদারের দাবি, কোনও সুপারিশ নয়, স্বাভাবিক বদলির আবেদনের নিয়ম মেনেই ট্র্যান্সফার হয়েছে।
এদিকে, চোখের সামনে বা মুখে তৃণমূল-বিরোধী সাজলেও ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের তৈলমর্দন করার অভিযোগ উঠেছে একসময়কার তৃণমূলপন্থী অধ্যাপক বর্তমানে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে সুকান্ত বিরোধী শিবির ঝড় তুলেছে।











































































































































