মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর ফোন করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে। এবার বাংলায় আসার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে কলকাতায় আসার সম্ভাবনা তাঁর। এই সফর নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে ফোন করে নিজের পক্ষে ভোট চাওয়ার কাজ শুরু করেছেন তিনি। সেই অভিপ্রায়ে জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে কলকাতায় আসতে পারেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণের রাজ্য কেরল ছাড়া প্রায় সব রাজ্যে যাওয়ার চেষ্টা করবেন দ্রৌপদী। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের এক এক জন বিধায়কের ভোটের ইলেক্টোরাল পয়েন্ট ১৫১। পাঁচ জন বিধায়ক দল ছাড়ার পর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিজেপির আসন সংখ্যা ৭০। সেই ৭০ জন বিধায়কের ভোট নিশ্চিত করতেই তাঁর পশ্চিমবঙ্গে আসার পরিকল্পনা।
২০১৭ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ শিবিরের প্রার্থী ছিলেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি কিন্তু ভোট চাইতে সে বার পশ্চিমবঙ্গে আসেননি। কারণ, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সেই সময় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ছিল মাত্র তিন। যদিও ভোট গণনার পর দেখা গিয়েছিল, কোবিন্দের পক্ষে পড়েছিল ১৩টি ভোট। কিন্তু এ বার পশ্চিমবঙ্গ থেকে কয়েক গুণ বেশি পরিমাণ ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দ্রৌপদীর। সেই ভোট নিশ্চিত করতেই কলকাতায় আসবেন তিনি।বিজেপি বিধায়কদের ভোট যাতে দ্রৌপদীর পক্ষে পড়ে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।
তৃণমূল তথা বিরোধী শিবিরের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহাও ভোট চাইতে কলকাতায় আসবেন। তবে তাঁর আসার দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। ২০১৭ সালে বিরোধী জোটের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী মীরা কুমার কলকাতায় এসেছিলেন। সে বার বিজেপি ছাড়া তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের সাংসদ বিধায়কদের ভোট গিয়েছিল মীরার দিকে।

ো










































































































































