রাত পোহালেই গেরুয়া সন্ত্রাসের বাতাবরণে ত্রিপুরার উপনির্বাচন, ভোট কর্মীদের ব্যস্ততা তুঙ্গে

0
2

রাত পোহলেই ত্রিপুরার চারটি হাইভোল্টেজ কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ৬, আগরতলা, টাউন বড়দোয়ালি, সুরমা ও যুবরাজ নগরে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ। যা নিয়ে আজ, বুধবার দিনভর ব্যস্ততা তুঙ্গে ভোট কর্মীদের। সকাল থেকেই ইভিএম হাতে বুথে বুথে পৌঁছে যাচ্ছেন ভোট কর্মীরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

এদিকে বিধানসভা ভোটের মাত্র ৮ মাস আগে এই উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে ত্রিপুরার রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা তুঙ্গে। প্রতিটি দলই তাদের শক্তি যাচাই করে নেওয়ার একটা সুযোগ পাচ্ছে। বাম-কংগ্রেস থাকলেও ত্রিপুরায় এবার শাসক বিজেপি বিরোধী চালিকা শক্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান সেনাপতি অভিষেক কার্যত মাটি কামড়ে ত্রিপুরায় পড়েছিলেন। এই উপনির্বাচনের ফলাফলের উপর নির্ভর করে সরকারের কোনও পরিবর্তন হবে না ঠিকই, কিন্তু আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের মানুষের কাছে একটি বার্তা পৌঁছবে। ত্রিপুরায় রাজনৈতিক পরিবর্তনের হাওয়া তুলতেই এই উপনির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল।

৬, আগরতলা কেন্দ্রে তৃণমূলের পান্না দেব, টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্রে সংহিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরমায় অর্জুন নমশূদ্র এবং যুবরাজ নগরে মৃণালকান্তি দেবনাথকে দাঁড় করিয়ে প্রার্থী পদে আগেই চমক দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। গত কয়েকদিনে নির্বাচনী প্রচারে কার্যত ঝড় তুলেছিল তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐতিহাসিক রোড-শো থেকে শুরু করে দুটি বড় জনসভা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করেছে। এছাড়াও ত্রিপুরা, অসম ও পশ্চিমবঙ্গের একঝাঁক তারকা, নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়করা উপনির্বাচনের চারটি কেন্দ্রে প্রচারে গিয়ে চষে ফেলেছেন।

অন্যদিকে, বুধবার সকাল থেকেই উপনির্বাচনের চার কেন্দ্রের জন্য চূড়ান্ত ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যায় নির্বাচন কমিশনের তরফে। ভোটকর্মীরা ইভিএম হাতে একে একে তাঁদের বুথের দিকে রওনা দেন। চারটি বিধানসভা জুড়ে নিরারাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও তৃণমূলের তরফে অভিযোগ এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিজেপির গুন্ডা ও বাইক বাহিনী। একটি চাপা সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, মানুষ যদি বিজেপির এই গেরুয়া সন্ত্রাস উপেক্ষা করে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলে বৃহস্পতিবার তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তাহলে অনেক হিসেব বদলে যাবে। উপনির্বাচন থেকেই শুরু হবে পরিবর্তনের যাত্রা। আত্মবিশ্বাসী ঘাসফুল শিবির।