আগরতলাবাসীকে দুয়ারে সরকারের পাঠ দিলেন কলকাতার দুই তৃণমূল কাউন্সিলর অয়ন-শচীন

0
2

সোমনাথ বিশ্বাস, আগরতলা: আসন্ন ত্রিপুরা উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে এসে আগরতলাবাসীকে দুয়ারে সরকারের পাঠ দিলেন কলকাতা পুরসভার তৃণমূলের দুই তরুণ কাউন্সিলর আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী ও শচীন সিং। এদিন ৬, আগরতলা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেবের সমর্থনে একটি সভা থেকে কলকাতার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী বলেন, “আমার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৬ হাজার ভোটার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গোটা রাজ্যের মতোই আমার ওয়ার্ডেও মাসে দুবার করে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নেওয়া বাধ্যতামূলক। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমস্ত প্রকল্প থেকে শুরু করে আধার কার্ড লিঙ্ক সবই দুয়ারে সরকার কর্মসূচি থেকে নেওয়া হয়। যেখানে মানুষকে ছুটে ছুটে যেতে হয় না। প্রকল্পের সুবিধা পেতে দীর্ঘ লাইন ও জটিলতার মধ্যে পড়তে হয় না। সরকার আপনার কাছে প্রকল্পের সুবিধা দিতে পৌঁছে যায়। বিভিন্ন দফতরের অফিসারের দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে আসেন ৭দিন আগে থেকে ওয়ার্ডে প্রচার করি আমরা। এটা দলমত নির্বিশেষে। শুধু তৃণমূল নয়, ওয়ার্ডের সমস্ত মানুষ এই সুযোগ পান।”

এদিন একইসঙ্গে অয়ন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুটি জনপ্রিয় প্রকল্পের উদাহরণ দেন। যেখানে মহিলা ক্ষমতায়ন ও সম্মানের প্রকল্প লক্ষীর ভান্ডার ও স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে সবিস্তারে ব্যাখ্যা দেন কলকাতা পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা।

অন্যদিকে, কলকাতা পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শচীন সিং দুয়ারে সরকারের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পাড়ায় পাড়ায় সমাধান কর্মসূচির ব্যাখ্যা করেন। বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতিরও কড়া নিন্দা করেন শচীন।

ওই একই সভা থেকে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “যাঁরা এখনও মনে করেন জ্বালানির দাম বাড়া উচিত। যাঁরা এখনও মনে করেন সরকারি সংস্থা বেসরকারি হাতে চলে যাওয়া উচিত। তাঁরা সরাসরি বিজেপিকে ভোট দিন। আর যাঁরা উল্টোটা মনে করেন, তাঁরা তৃণমূলকে ভোট দিন। আমাদের বক্তব্য, আপনাদের ভাবতে সাহায্য করবে। কিন্তু সিদ্ধান্ত আপনাদেরই নিতে হবে। তাই বলি, ভিক্ষা নয় চাইছি ঋণ তৃণমূলকে ভোট দিন। আমরা কাজ-উন্নয়ন দিয়ে আপনাদের এই ঋণ শোধ করবো কথা দিলাম। বাংলায় দুয়ারে সরকার হলে ত্রিপুরায় নয় কেন। বাংলা-ত্রিপুরা হাতে হাত মিলিয়ে চলবে। ২৩ তারিখ খুঁটি পুজো করে দিন। তারপর তেইশে বিসর্জনের ঢাক বাজবে। ধর্মের নেশা দিয়ে ভাগ করা যাবে না। রোটি কাপড় মকানের লড়াই। আপনার অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই।”

এদিন আগরতলায় দাঁড়িয়ে বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, ” অতীতের সিপিআইএম-কংগ্রেস আর এখন বিজেপি ত্রিপুরাকে ধ্বংস করেছে। কিছুদিন কাজ করার মধ্যে দিয়ে ত্রিপুরার মানুষের আশীর্বাদ তৃণমূল পেয়েছে। কংগ্রেস ক্ষয়ে যেতে যেতে মাটিতে মিশে গেছে। এবারএকমাত্র বিকল্প তৃণমূল।” বাংলার মতো প্রকল্প এই রাজ্যের মাটিতে কেন বাস্তবায়ন হচ্ছে না? প্রশ্ন তোলেন মানস ভুঁইয়া।

আরও পড়ুন:ত্রিপুরায় প্রচারে গিয়ে বিপ্লব দেবকে মূর্খ-গুন্ডা বলে কটাক্ষ সৌগতর