নিজের স্ত্রীর উপর ভয়ঙ্কর অত্যাচার করার পর আপাতত শ্রীঘরে শরিফুল শেখ (Shariful Shekh)। কিন্তু এখনও তাঁর মধ্যে কোনও অনুশোচনা নেই। স্ত্রীর ডান হাত কেটে নেওয়ার অপরাধে অভিযুক্ত শরিফুল পুলিশের জেরার মুখেও নিজের যুক্তিতে অটল। এমনই মত তদন্তকারী অফিসারদের।
কেতুগ্রামের রেণু খাতুন (Renu Khatun)এখন লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা, তিনি নতুন করে নিজেকে গড়ে তুলতে চান । স্বামীর নৃশংসতাও দমাতে পারেনি তাঁকে। বরং তিনি বলছেন, লড়তে হবে এভাবেই। সরকারি চাকরিতে আপত্তি ছিল কেতুগ্রামের (Ketugram)নার্সিং স্টাফ রেণুর স্বামীর। সরকারি নার্সিং চাকরির লিস্টে নাম আসতেই সুপারি কিলারদের সঙ্গে নিয়ে নৃশংসভাবে রেণু খাতুনের (Renu Khatun) ডান হাতের কব্জি কেটে দেন তাঁর স্বামী শরিফুল শেখ (Shariful Shekh)। এরপর অবশ্য পালিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি অভিযুক্তর। গত মঙ্গলবার রাতে ধরা পড়ে যান তিনি। গত বুধবার অভিযুক্তকে সাত দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। সেই মেয়াদ আগামিকাল শেষ হবে। কিন্তু এই এক সপ্তাহে শরিফুলের মধ্যে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন আসে নি বলছেন অফিসারেরা। তদন্তকারীরা ছুড়ে দিয়েছেন একের পর এক প্রশ্নও। কিন্তু এখনও তাঁর একটাই উত্তর, রেণু খাতুন চাকরি পেলেই সংসার ফেলে চলে যেতেন। আর এই কারণেই তাঁর নিজের অপরাধ নিয়ে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই তাঁর। আড়াই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ে করেন রেণু – শরিফুল । তাঁদের সম্পরকে তৃতীয় কোনও ব্যক্তির আগমন ঘটেছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনাচক্রে শরিফুল যখন পুলিশ হেফাজতে, তখন নয় দিন হাসপাতালে কাটিয়ে সোমবার বাড়ি ফিরেছেন রেণু। আপাতত তিনি রয়েছেন বর্ধমানে, তাঁর দিদির বাড়িতে। এই খবর পৌঁছেছে পুলিশ হেফাজতে থাকা তাঁর অভিযুক্ত স্বামীর কাছেও। তবে তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছেন স্ত্রীর সুস্থতা নিয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখান নি তাঁর স্বামী। অনেক প্রশ্নের এখনও সদুত্তর মেলে নি, তাই ফের তাঁকে পুলিশ হেফাজত দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।


















































































































































