আজ জগন্নাথ দেবের (Jagannath) স্নানযাত্রা উৎসব। পুরীর জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple, Puri) থেকে ইস্কন (ISCON) সর্বত্র আজ মহা সমারোহে পালিত হচ্ছে স্নানযাত্রা উৎসব (Snan yatra festival)। ঐতিহাসিক মাহেশ (Mahesh) এর জগন্নাথ মন্দিরেও সেই একই ছবি। সকাল থেকেই চূড়ান্ত ব্যস্ততা মাহেশের (Mahesh) জগন্নাথ দেবের মন্দিরে।
রথযাত্রা ,বারো মাসে তেরো পার্বণের এক পার্বণ। চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় স্নানযাত্রার দিন। আজ মঙ্গলবার জগন্নাথদেবের সেই স্নানযাত্রা উৎসব পালিত হচ্ছে সর্বত্র। ৬২৬ বছরে পা দিল হুগলির(Hooghly) মাহেশে জগন্নাথের স্নানযাত্রা। পুরীতে যেমন ১২ বছর অন্তর নব কলেবর হয়, মাহেশে বিগ্রহের কোনও পরিবর্তন করা হয় না। এতবছর ধরে একই বিগ্রহকে পুজো করা হচ্ছে। করোনার (Corona) বাড়বাড়ন্তে গত দু বছর মন্দিরের মধ্যেই হয়েছে স্নানযাত্রা। এবছর ফের পুরনো নিয়মেই সকালে গর্ভগৃহ থেকে বের করে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে মন্দিরের বারান্দায় রাখা হয়। এইদিন বিগ্রহকে স্পর্শ করা যায়। মোট ২৮ ঘড়া গঙ্গাজল ও দেড় মন দুধ দিয়ে জগন্নাথ দেব স্নান করলেন আজ। এই বছর সকাল থেকে উপচে পড়া পুণ্যার্থীদের ভিড় মাহেশে। তিথি মেনে দুপুর ১ টা বেজে ৪১ মিনিটে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে নিয়ে যাওয়া হয় মন্দির সংলগ্ন মাঠে স্নানমঞ্চে। এদিন জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উপলক্ষে হুগলির মাহেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কড়াকড়ি লক্ষ্য করা যায়। ২ দিন আগে পানিহাটির দণ্ড মহোৎসবের দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখে, মাহেশে স্নানমঞ্চের মাঠ ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনের জন্য ব্যারিকেডের মাঝখান দিয়ে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী রাস্তা। প্রস্তুত রাখা হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স ও দমকল। হাজার হাজার ভক্ত সমাগম আজ মাহেশের জগন্নাথ দেবের মন্দিরে।
কথিত আছে, আজকের স্নানের পর জগন্নাথের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। লেপ কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকেন জগন্নাথদেব। এই সময় হয় অঙ্গরাগ। ভেষজ রঙ দিয়ে জগন্নাথ দেবকে রাঙানো হয়। গর্ভগৃহের দরজা বন্ধ থাকে। কবিরাজের পাঁচন খেয়ে জ্বর ছাড়লে হয় নবযৌবন উৎসব। ঠিক এক পক্ষকাল পরে রথে চেপে মাসির বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা। আর সেইদিন পালিত হয় রথযাত্রা। পুরীর পর মাহেশের রথ ও স্থানযাত্রা ভারতবর্ষের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব বলে মানা হয়।