রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে মাথায় রেখে বিরোধীদের একজোট করতে দিল্লি সফরে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার দিল্লিতে(Delhi) পা রেখেই এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের(Sarad Pawar) সঙ্গে সাক্ষাত করলেন তৃণমূল নেত্রী। এনসিপি প্রধানের বাড়িতে মমতার একান্ত বৈঠকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের রণকৌশল নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল সূত্রের খবর। মমতার এই সাক্ষাতের পর বিরোধী শিবির থেকে পাওয়ারকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে।
এদিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের(Precidencial Election) রণকৌশল সাজাতে আগামিকাল দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে মমতার ডাকা বৈঠককে ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বুধবার মমতার ডাকা বৈঠকে হাজির থাকবেন তাঁদের দলের তিন প্রতিনিধি। ফলে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে গত কয়েক মাসে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে সেই দূরত্ব কমার ইঙ্গিত মিলেছে। এই ইস্যুতে সোনিয়ার সঙ্গে কথাও হয়েছে মমতার। আগামিকালের বৈঠকে বামেদের তরফে সাংসদ পাঠানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন সিপিএম সাংসদ এলামারাম করিম এবং বিনয় ভিস্বম। থাকবেন লালু পুত্র তেজস্বী যাদব সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।
তবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী কে হবেন তা নিয়ে জল্পনা চরম আকার নিয়েছে। এই তালিকায় শরদ পাওয়ারের নাম থাকলেও তিনি প্রার্থী হতে কতখানি সম্মত তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে এর আগেই শরদ জানিয়েছিলেন, “যখন একটা দলের (বিজেপি) তিনশোরও বেশি সাংসদ রয়েছে, সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফল কী হবে, তা স্পষ্ট। আমি রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হব না।” যদিও বিরোধিরা যদি এই নির্বাচনে একজোট হয় সেক্ষেত্রে বিজেপিকে জোর ধাক্কা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর সেই লক্ষ্যে এদিন দিল্লিতে পা রাখলেন মমতা।