মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে বসাতে বিধানসভায় পাস হয়ে গেল বিল৷ বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ১৮২টি৷ বিলের বিরোধিতায় পড়ে ৪০টি ভোট৷ এবার রাজ্যপালের কাছে যাবে এই বিল৷ কিন্তু রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বিলে সই করবেন কি না, সেটাই এখন দেখার৷অবশ্য সোমবারই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলে দিয়েছেন, রাজ্যপাল এই বিলে সই করবেন না৷রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর সিদ্ধান্ত কয়েকদিন আগেই পাস হয়েছিল রাজ্য মন্ত্রিসভায়৷সোমবার সেই বিলই বিধানসভায় পেশ করেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷
বিজেপি-র তরফে বিলের বিরোধিতা করেন অগ্নিমিত্রা পাল, শুভেন্দু অধিকারীরা৷বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, ‘বিধানসভায় সংখ্যা আছে, বিল পাস করিয়ে নিয়েছে৷ কিন্তু আমাদের আপত্তি নথিভুক্ত করেছি৷ বিল সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়নি৷ আগামী সোমবার আমরা বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে গিয়ে তাঁকে বলব যে বিলে সই না করতে৷ বিল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠাতে৷ আমি এখনই বলে দিচ্ছি, রাজ্যপাল বিলে সই করবেন না৷
পাল্টা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি করেন, তামিলননাড়ু, মহারাষ্ট্র, গুজরাতের মতো রাজ্যে এই একই বিল আনা হয়েছে৷ রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে ব্রাত্য বসুর পাল্টা তোপ, বিজেপি সদস্যরা যদি ঠিক করে দেন রাজ্যপাল কী করবেন, আর রাজ্যপাল যদি তাই করেন, তা হলেই বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যাবে৷ উনি তো আমার, আপনার সরকারেরও রাজ্যপাল৷ নির্বাচিত সরকারের কথা না শুনে কেন উনি বিজেপি-র কথা শুনবেন ?
প্রসঙ্গত, আচার্য নিয়োগ বিল অর্থাৎ, ‘দি ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি ’ল (সংশোধনী) বিল, ২০২২’ নিয়ে সোমবার বিধানসভায় ভোটাভুটির দাবি জানিয়েছিল বিজেপি পরিষদীয় দল। ক্রস ভোটিংয়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বলেন, আমাদের ১৮২ জন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। সকলেই ভোট দিয়েছেন।












































































































































