নিউটাউনের ফ্ল্যাটে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ সোনা, আরও বিপাকে ধৃত সায়গল হোসেন

0
1

সামান্য কনস্টেবলের চাকরি করেন অথচ তার সম্পত্তির পরিমাণ দেখে চক্ষু চড়কগাছ সিবিআই(cbi) কর্তাদের। কীভাবে করলেন এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ? সেই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর কিন্তু দিতে পারেননি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন(saygol hussain)।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নিজাম প্যালেসে তাকে যখন জেরা করছিলেন সিবিআই কর্তারা, তখন একাধিকবার ঘুরে ফিরে আসে এই প্রসঙ্গ। তার কাছে এই প্রশ্নের উত্তর একাধিকবার জানতে চান সিবিআই অফিসাররা। অথচ কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি সায়গল।

তখনই সিবিআই কর্তারা সিদ্ধান্ত নেন তার নিউটাউনের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হবে। যেমন ভাবা তেমন কাজ। আর নিউটাউনের সেই ফ্লাটেই মিলল বিপুল পরিমাণ সোনা , যার বাজার মূল্য কয়েক কোটি টাকা বলে সূত্রের খবর।

শেষপর্যন্ত গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন (Saigal Hussain)।ধৃতের নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ সোনা ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই ।
নিউটাউনের একাধিক ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালানো হয়। তদন্তকারীদের অনুমান, বেনামে ওই ফ্ল্যাটগুলো কিনেছিলেন সায়গল হোসেন।শুক্রবার ধৃত সায়গল হোসেনকে আসানসোলের সিবিআই আদালতে পেশ করবেন তদন্তকারীরা।

জানা গিয়েছে, সিবিআই কর্তারা যখনই তাকে সম্পত্তির উৎস সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন, তখনই দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য সায়গল নানান কথা বলতে থাকেন। এমনকি জেরায় তিনি তদন্তকারীদের সাহায্য করেছিলেন না বলেই জানা গিয়েছে।

দিন কয়েক আগে মুর্শিদাবাদে(murshidabad) সায়গলের ডোমকলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তকারীদের অনুমান, গরুপাচারে লেনদেন সংক্রান্ত অনেক তথ্যই সায়গলের কাছে রয়েছে। এ নিয়ে তাঁকে একাধিক বার নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে সিবিআই। বৃহস্পতিবারও নিজাম প্যালেস তাকে জেরা করছিল সিবিআই। তার বক্তব্যে নানা অসঙ্গতি থাকায় এবং ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার হওয়াই গ্রেফতারের মূল কারণ বলে জানা গিয়েছে।