ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে যোগী রাজ্যে। একবার ফের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা উঠে এল। এবারও ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু সেই উত্তরপ্রদেশ। যা নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। গোন্দা জেলার একটি গ্রামে ভিক্ষা করতে আসা মুসলিম ফকিরদের উপর মর্মান্তিকভাবে মারধর করানোর ভিডিয়ো দেখে সমালোচনার ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না নেটিজেনরা। গণতান্ত্রিক দেশে অহিন্দুদের বিরুদ্ধে ধর্মান্ধ হিন্দুরা বিষ ছড়াচ্ছে বলে সমালোচনায় সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা।



আরও পড়ুন:নাড্ডার সফর ঘিরে ফের প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব-মারপিট! নেতাদের ধমকালেন লকেট




ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, গ্রামের পথে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করছিলেন একদল ফকির। হাঁটতে হাঁটতে তাঁরা ঢুকে পড়েছিলেন হিন্দু পাড়ায়৷ তাঁদের দেখে প্রথমে কটাক্ষ করা কয়৷ পাড়ার বাচ্চা ছেলেরা ফকিরদের পিছু নিতে থাকে। কানপুরের গোষ্ঠী সংঘর্ষ নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য করতেও শোনা যায় তাদের৷ সঙ্গে চলে টোন-টিটকিরি৷


তার কিছুক্ষণ পরই আরও মারাত্মক ছবি ভেসে আসে ভিডিয়োতে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কিছুক্ষণ পরেই বাঁশ হাতে তাঁদের দিকে তেড়ে আসে এক যুবক৷ সে প্রথমে ফকিরদের নাম পরিচয় জানতে চায়৷ ভিডিওতে তাকে স্পষ্ট বলতে শোনা যায়, ‘আধার কার্ড বের কর ফটাফট৷ শালারা আতঙ্কবাদী৷ কী নাম?’ বাঁশ দিয়ে ফকিরদের পেটানোও হয় এরপর৷ যুবকটি বলে, ‘দূরে দাঁড়াও৷ নাম কী? আরও দূরে আরও দূরে৷ বাপের নাম কী? কোথায় থাকো? আধার দেখাও.. কোথায় আধার…!’আধার কার্ড দেখাতে না পারায়, আশপাশ থেকে মন্তব্য শোনা যায়, ‘আরে আধার কার্ড সঙ্গে রাখবে তো৷’ আরেকজনকে বলতে শোনা যায়, ‘টাকা তুলে বিরিয়ানি খাবে ওরা।’ এর পরই কোনও প্রমাণ ছাড়াই ফকিরদের ‘জেহাদি’, ‘আতঙ্কবাদী’– এসব বলে কান ধরে উঠবোস করায় ওই যুবক৷ এমনকী তাঁদের জয় শ্রীরাম বলতেও বাধ্য করে৷


এই ঘটনায় বিরোধীদের অভিযোগ, গোন্দা জেলার খরগপুর দিনগুর গ্রামের ওই ঘটনা বুঝিয়ে দিল, টিভির পর্দায় বিজেপি নেতা-নেত্রীদের উগরানো সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে পড়ছে সমাজের একেবার নিচু স্তর পর্যন্ত৷ তার জেরে রাজ্যে বাড়ছে ধর্মীয় সংঘর্ষ৷






























































































































