আঁচ পড়ল না ‘পার্টিগেট’ কেলেঙ্কারির। তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় এমপিদের আনা আস্থাভোটে জিতে গেলেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা তথা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তাঁর পক্ষে ২১১টি ভোট পড়েছে, আর বিপক্ষে ১৪৮টি।ফলে আগামী একবছর তাঁর গদি সুরক্ষিত বলেই মনে করা হচ্ছে।




সোমবার রাতে কনজারভেটিভ দলের এমপিদের এক গোপন ব্যালটে মি. জনসনের ভাগ্য নির্ধারিত হয়।পার্টিগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে কিছু দিন ধরেই প্রবল অস্বস্তিতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। অস্বস্তি বাড়িয়ে তাঁরই নিজের দলের অন্তত ৫৪ জন সাংসদ তাঁর বিরুদ্ধে আস্থাভোটের ডাক দিয়েছিলেন। সেই মতো সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধে ৬টা থেকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে শুরু হয় ভোট। চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। ভোট গণনার ফল প্রকাশ হয় স্থানীয় সময় রাত ৯টায় (ভারতীয় সময় রাত দেড়টা)। তাতে জয়ী হন বরিস। এই ফলাফলের সুবাদ আগামী এক বছর প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলের মধ্যে থেকে কোন ধরনের অনাস্থা প্রস্তাব আনা যাবে না।




উল্লেখ্য, করোনা রুখতে দীর্ঘ দু’বছর লকডাউন বিধি জারি ছিল গোটা ব্রিটেনে। কিন্তু লকডাউন চলাকালীনই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে অজস্র পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। যার মধ্যে অন্তত তিনটিতে প্রধানমন্ত্রী নিজে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছিল।তারপরই ‘পার্টিগেট’ কেলেঙ্কারিতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ডাউনিং স্ট্রিটে রিপোর্ট জমা দেন বর্ষীয়ান ব্রিটিশ আমলা স্যু গ্রে। রিপোর্টে বরিস জনসন সরকারের ‘নেতৃত্বের ব্যর্থতা’র কড়া সমালোচনা করেন আমলা স্যু গ্রে।এপ্রিল মাসে বিধিনিষেধ অমান্য করে পার্টিগেট বিতর্কে পার্লামেন্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন । ভোটের আগে দলীয় এমপি-দের সঙ্গে কথা বলেন বরিস। দাবি করেন, এখনও তাঁর উপরেই আস্থা রাখেন ব্রিটেনের অধিকাংশ মানুষ।






























































































































