মণীশ কীর্তনিয়া, আলিপুরদুয়ার: বরাবরই সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে যেতে ভালবাসেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এর আগেও বগটুইতে আক্রান্তদের পরিবারে পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের শুশ্রুষা করেছেন তিনি। এবার আলিপুরদুয়ার দেখল মমতা-স্পর্শ। মঙ্গলবার, আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডের (Parade Ground) মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের শেষের দিকেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে সাড়ে ১১ বছরের মুসকান পারভিন। আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া থেকে তার মায়ের সঙ্গে এসেছিল দিদির সভায়। দিদি আসবেন তাই অপেক্ষা। সভায় থিক থিক করছে লোক। গলা শুকিয়ে কাঠ। যেটুকু জল ছিল শেষ। গরমে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়ে কিশোরী। হইচই শুনে বক্তব্য থামান মমতা। য়েয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে দেখে তাকে পাশের মঞ্চে আনার নির্দেশ দেন। বক্তব্য থামিয়ে দিয়ে বললেন আগে ওর চিকিৎসার দরকার। নিজে ছুটে গিয়ে পাশের মঞ্চে জলের বোতল দেন। কোনওমতে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে এরপর নিজেই যান মুসকানের কাছে। সে তখন ঘেমে-নেয়ে একশেষ। সবাইকে অবাক করে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজেই নেমে পড়লেন শুশ্রুষায়।

জল খাওয়ালেন সযত্নে। মাথায় জল দিলেন। পরম মমতায় হাত বুলিয়ে দিলেন কিশোরীর গালে মাথায়। মেশিন দিয়ে পালস্ মাপেন। মাথায় জল দেওয়ায় শরীরে জল পড়ে জামাকাপড় ভিজে গিয়েছিল। নেত্রী চাদর জোগাড় করে ছোট্ট পারভিনকে জড়িয়ে দেন পরম মমতায়। যাতে ঠান্ডা না লাগে। মুসকানকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে বললেন নিরাপত্তা কর্মীদের। অবশেষে খানিকক্ষণ পর একটু ধাতস্থ হয় কিশোরী। সে সুস্থ হচ্ছে দেখে তারপর প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে মঞ্চ ছাড়েন তৃণমূল নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর মুসকানকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে তখন অসুস্থ কিশোরীর মা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না। চোখের সামনে দেখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা শাসকদলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মেয়েকে নিজে শুশ্রুষা করলেন সুস্থ করে তুললেন। একি স্বপ্ন নাকি সত্যি বাস্তব তখনও ঘোর লেগে মায়ের চোখে।















































































































































