মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে গুরুদাস কলেজের ফেস্টে প্রায় ২০টি ধামকাদার গান পারফর্ম করার পর মধ্যকলকাতার গ্র্যান্ড হোটেলে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী কেকে। এরপর একবারপুরের CMRI হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। গতকাল, বুধবার শিল্পীর ময়নাতদন্ত হয় SSKM হাসপাতালে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে কেকে-র মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশন’। অর্থাৎ হার্ট অ্যাটাকেই শিল্পীর মৃত্যু হয়েছে শিল্পীর। অন্য কোনও অস্বাভাবিকতা পাওয়া যায়নি। পারিবারিক সূত্রে খবর, কেকে-র হৃদযন্ত্রে দীর্ঘদিনের সমস্যা ছিল। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টেও তেমনই ইঙ্গিত পেয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁর গ্যাসের সমস্যাও ছিল। নিয়মিত ওষুধ নিতেন কেকে।
আরও পড়ুন:নিউটাউনের ফ্ল্যাটে অনুব্রত, আজ ফের CBI দফতরে হাজিরা?
কেকে-র ময়নাতদন্তের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটা টিম তৈরি হয়। ময়নাতদন্ত করেন ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা। এছাড়াও ছিলেন অ্যানাটমি, প্যাথলজি, কার্ডিওথোরাসিক, কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকেরা। গোটা ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্বাবধানে। ময়নাতদন্তের সময় হৃদযন্ত্রে ক্যাথেটার ঢুকিয়ে দেখা হয়। সেখানে বেশকিছু ব্লক ধরা পড়ে। বাঁ দিকের আর্টারিতে একটা বড় ব্লক ছিল। প্রায় ৭০ শতাংশই ব্লক ছিল সেখানে। আর দিন দুয়েকের মধ্যে চূড়ান্ত রিপোর্ট সামনে আসবে বলে জানা গিয়েছে।
চিকিৎকদের প্রাথমিক অনুমান, গ্র্যান্ড হোটেলেই কেকে-র হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। নজরুল মঞ্চে পারফর্ম করার সময় শরীরে অনেক ধকল গিয়েছে। হোটেলে ফিরে হৃদযন্ত্রের চলাচল অনিয়মত হয়ে পড়ে। ফলে জ্ঞান হারান সঙ্গীত শিল্পী।
কেকে-র ম্যানেজারের বক্তব্য অনুসারে, নজরুল মঞ্চে পারফর্ম করার সময় তাঁর কোনও কষ্ট হচ্ছে, এমন কিছু বলেননি শিল্পী। সেখান থেকে গাড়িতে হোটেলে ফেরার সময়ও কিছু বলেননি। শুধু গাড়ির এসি বন্ধ করতে বলেন, ঠান্ডা লাগছিল বলে। হোটেলের রুমে ঢুকে সোফায় বসতে গিয়ে পড়ে যান। সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। তারপর আর চোখ খোলেননি।
এদিকে তদন্তে নেমে পুলিশ কেকে-র গ্র্যান্ড হোটেলে ঢোকা থেকে লিফটে চড়ে হোটেলের লবিতে যাওয়া ও রুমে ঢোকা পর্যন্ত সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন। গ্র্যান্ড হোটেলে কেকে-র শেষ মুহূর্তগুলো সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে। দেখা যাচ্ছে লবি দিয়ে হাঁটছেন তিনি। গলায় তখনও সাদা তোয়ালে জড়ানো। যদিও তাঁর হাঁটচলায় তখনও কোনও জড়তা নেই, অস্বস্তি, কষ্ট বা অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়নি। পাশেই ছিলেন ম্যানেজার। তার পরেই ঢুকে যান নিজের ঘরে। সোফায় বসতে যান। কিন্তু পারেননি। পড়ে যান নীচে। তার পর আর কোনও জ্ঞান ছিল না। তখনই হয়তো মৃত্যু হয় তাঁর।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.