কোনও গতানুগতিক ট্রেনিং বা কোচিং নয়।ছকে বাঁধা পড়াশুনোও কোনওদিন করেননি। শুধু ছিল অদম্য জেদ আর অধ্যাবসায়। তাতেই কেন্দ্রীয় পাবলিক সার্ভিস কমিশনে বাজিমাত করলেন নদীয়ার তেহট্টের বেতাইয়ের মেয়ে দিয়া গোলদার। কেন্দ্রীয় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মেধাতালিকায় ৬১২ র্যাঙ্ক করেন দিয়া।

 
 

আরও পড়ুন:পুরুলিয়ার উন্নয়নে একাধিক ঘোষণা, কর্মিসভা থেকে আর কী বললেন মমতা


খড়্গপুর আইআইটির ছাত্রী দিয়া করোনা আবহের মধ্যেই ঠিক করে নিয়েছিলেন ইউপিএসসি-এর জন্য প্রস্তুতি নেবেন। সেইমতো নিজের মতো করেই শুরু করেন পড়াশুনোও। দিয়ার বাবা অজিত গোলদার জানান, মেয়ের সিদ্ধান্তকে সবসময়ই স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। সেইমতো মেয়েকে সবসময় উৎসাহ ও সহযোগিতাও করেছেন। তবে বিনা কোচিং-এ মেয়ের এমন রেজাল্টে উচ্ছ্বসিত দিয়ার মা শান্তা গোলদার। তিনি জানান,”কোচিং ছাড়াই মেয়ের এমন সাফল্য আমি অভিভূত”।


কী করে এমন অসাধ্যসাধন করলেন দিয়া? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ” নিজের মতো করে নোটস তৈরি করেছি। কখনও প্রাক্তন টপারদের সঙ্গে কথা বলে বা কখনও ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে কোচিং ছাড়াই প্রস্তুতি নিয়ে ফেলি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে পরীক্ষাতে বসার পর এপ্রিল মাসে ভাইবাতে ডাক পাই।সোমবার রেজাল্ট আউট হলে জানতে পারি সাতশোর মধ্যে আমার র্যাঙ্ক ৬১২।”


পরিবারের মেয়ের এমন সাফল্যে খুশি সকলেই। গর্বিত দিয়ার দিয়ার কাকু-কাকিমাও। ইতিমধ্যেই ভাইঝির সাফল্যে শুরু হয়েছে মিষ্টি বিলি।
 
 
 
 
 
 
 
 
 





























































































































