কে ফোনে হুমকি দিত রোজ রাতে ! আত্মঘাতী  সরস্বতীকে নিয়ে রহস্য ঘনীভূত

0
1

কেন অকালে আত্মহননের(Suicide) পথ বেছে নিচ্ছেন কমবয়সী উঠতি মডেল(Model)বা অভিনেত্রীরা(Actress) নেপথ্যের কারণ কী? পেশাগত চাপ, নেশা, সম্পর্কের টানাপড়েন সবটাই তো জীবনের অঙ্গ। তাহলে এতো ধৈর্য্যচুতি কেন।কসবায় (Kasba)উঠতি মডেল সরস্বতী দাসের (Saraswati Das)মৃত্যু আবার এই প্রশ্নের সম্মুখীন করলো আমাদের। রবিবার সরস্বতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

১৯ বছর বয়সি সরস্বতী সম্প্রতি মডেলিং শুরু করেছিলেন। তাঁর একটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘যেটা খুব সহজেই পাওয়া যায়, সেটা হল ধোঁকা, যেটা খুব কষ্ট করে পাওয়া যায় সেটা হল সম্মান, যেটা হৃদয় থেকে পাওয়া যায় না সেটা হল ভালবাসা…।’এই পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে সরস্বতী মানসিক কষ্টে ছিলেন।

পরিবার সূত্রে খবর, মামাবাড়িতে মায়ের সঙ্গে থাকতেন সরস্বতী। মেকআপের কাজ জানতেন সেই কাজ তো করতেনই পাশাপাশি নানা ভিডিও শ্যুটের কাজও করেছেন। এ ছাড়াও প্রাইভেট টিউশনও করতেন। আঁকা শেখাতেন।স্বপ্ন ছিল মডেল হওয়ার।যে কারণেই নানা ফটোশ্যুট করতেন তিনি। রিল বানানোর শখ ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, এক যুবকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। কে সে? তাঁর খোঁজ করছেন তাঁরা।

সরস্বতীর ঘর থেকে  পাওয়া একটি চিরকুটে মাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, ‘মা, আমি তোমায় খুব ভালবাসি।’ মৃত সরস্বতীর মামা গোবিন্দ মন্ডলের দাবি তিনি খেয়াল  করেছিলেন সরস্বতী প্রতিরাতে দরজা বন্ধ করে কারো সঙ্গে কথা বলতো।কয়েকদিন তাঁকে কাঁদতেও দেখেছিলেন তিনি।মামার সন্দেহ ফোন করে কেউ ভাগ্নীকে হমকি দিত প্রতি রাতে। সরস্বতীর এক প্রতিবেশী তাঁকে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরতে দেখেছিলেন।ঘটনার ঠিক আগেরদিন রাতে বাড়ি ঢুকে সরস্বতী বলেন বাবা,মা দিদি সবাইকে মিস করছি। তারপর খাওয়া- দাওয়া সেরে ঘরে চলে যান। সরস্বতীর মোবাইল পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:আমার দলের হলে টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম: পুরুলিয়ার জেলাশাসককে তোপ মমতার