আমার দলের হলে টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম: পুরুলিয়ার জেলাশাসককে তোপ মমতার

0
1

ইটভাটা থেকে রাজ্যসরকারের যে রাজস্ব পাওয়ার কথা তা চলে যাচ্ছে সরকারি কর্মীদের(Govt Employees) পকেটে। এই টাকার কোনও হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না। সোমবার পুরুলিয়ার প্রশাসনিক সভায় এমন অভিযোগ উঠতেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। পুরুলিয়ার(Purulia) জেলা শাসককে দাঁড় করিয়ে এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি বলেন, “আমার পার্টির লোক হলে আমি টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম।”

এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এক তৃণমূল নেতা অভিযোগ করেন, “স্থানীয় ইটভাটা থেকে যে সরকারি রাজস্ব পাওয়া যায়। তার কোনও হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ বা কারা সেই টাকা পকেটে ঢোকাচ্ছে।” এই অভিযোগ শুনেই জেলা শাসককে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডিএম শুনতে পাচ্ছো? এগুলো কিন্তু তৃণমূল করেনি। করছে প্রশাসনের নীচের তলার কর্মীরা।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “নিজেরা টাকাটা নেয়, নিজেরাই খেয়ে নেয়! কী জেলা চালাচ্ছ তুমি? এত দিন জেলায় আছো। আমার ধারণাই বদলে গেল। এত কিছু দিচ্ছি মানুষকে, তবু কয়েকজন এত লোভী কেন হয়ে গিয়েছে। আর কত চাই? আমার পার্টির লোক হলে আমি টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম। তাদের আমি সবসময় শাসন করি।

আরও পড়ুন:৫-৬ বছর ধরে কাজ আন্ডার প্রসেস: পুরুলিয়ায় গাফিলতির তালিকা দেখে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী

এর পাশাপাশি পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের কাজে রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। জমির পাট্টা বিলির জন্য কেন চিহ্নিতকরণ হয়নি সে প্রশ্ন তুলে তিনি ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকদের নির্দেশ দেন, “দুয়ারে সরকারে যাঁরা যাচ্ছেন, কাজ করে দেবেন। এবার আর অনুরোধ নয়, সোজাসুজি নির্দেশ দিচ্ছি।” এছাড়াও ব্লক ভূমি রাজস্ব দফতরের কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, “বেশিরভাগ সময়ই আদিবাসীদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না। আদিবাসীদের অনেকেরই অভিযোগ, তারা ঠিক করে পড়াশোনা করতে পারে না। এমনকী, জমি মিউটেশন করতে গেলে তাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এনিয়ে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। এই বিষয়গুলি দেখে নিতে হবে। আদাবাসীদের গুরুত্ব দিতে হবে। আদিবাসীদের জায়গা কেউ নিতে পারবে না। এটা আইন বিরুদ্ধ। আদিবাসীদের জমি যদি কেউ নেয় তাহলে BLRO-নামে এফআইআর হবে।” এছাড়াও বিএলআরও অফিসের কাজ অফিসের বাইরের দোকান থেকে টাকার বিনিময়ে হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রমাণ স্বরুপ স্থানীয় কয়েকজন ভুক্তভোগীকে প্রশাসনিক বৈঠকেও উপস্থিত করেন মুখ্যমন্ত্রী।