“মন দিয়ে লেখাপড়া করে যেই জন
বড় হয়ে গাড়ি ঘোড়া চড়ে সেইজন”–

ছোট থেকে বড় হতে হতে ঠিক এই কথাটা শুনতে হয় সবাইকে। লক্ষ্য স্থির রাখতে হবে তবেই জয় আসবে, আসবে সাফল্য(Success)। আর এই গুরুমন্ত্র দিয়েই ছাত্র ছাত্রীদের অনুপ্রেরণা দেন মাষ্টারমশাই, কামাল হোসেন(Kamal Hossain)। সরকারি চাকরি (Government Job) পাওয়ার আশায় সঠিক পড়াশোনা করার একটাই জায়গা “কামাল হোসেন কোচিং”(Kamal Hossain Coaching)।
আরও পড়ুন: অভিষেকের মন্তব্যে কলঙ্কিত নয় বিচারব্যবস্থা, মামলা খারিজ করে জানাল হাইকোর্ট
পড়াশোনা অনেকেই করেন কিন্তু সরকারি চাকরি পান না সবাই। সঠিক উপায়ে যদি অধ্যয়ন করা যায়, তবেই সাফল্য আসে। আর এই সফলতাকে মুঠো বন্দি করতে পাশে আছে ‘কামাল হোসেন কোচিং’, ১৯ নং শ্যামাচরণ দে স্ট্রীট, কলেজ স্ট্রিট,কলকাতা ৭০০০৭৩ (কফি হাউজের পিছনে)। এখানে দূরদূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা আসেন সরকারি চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে।মাষ্টারমশাই কিন্তু বেশ কড়া। তিনি পড়াশোনা না পারলে ছাত্র ছাত্রীদের মৃদু শাস্তি দিতে দুবার ভাবেন না। “পড়া না পারলে সোজা বাবার কাছে ফোন চলে যাবে”, বলছেন উত্তর ২৪ পরগণার( North 24 parganas) এক ছাত্রী। আসলে ‘শাসন করা তারই সাজে সোহাগ যে করতে জানে’ – মাষ্টারমশাই বন্ধুর মতো পাশে বসে হাতে ধরে ভুল হলে তা শুধরে দেন। প্রতি ক্লাসে আগেরদিনের পড়া করে আসা বাধ্যতামূলক। এছাড়া প্রতিদিন অংক/ইংরেজি/জি আই-এর উপর গতদিনের পড়ার ভিত্তিতে ছাপানো প্রশ্নে পরীক্ষা দিতেই হয়। “এইরকম অভ্যাসে থাকতে থাকতে, পড়াশোনাটা নিজের থেকেই করতে ইচ্ছে করে”, এমনটাই জানালেন মেদিনীপুর (Midnapore) থেকে আসা এক শিক্ষার্থী।

‘কামাল হোসেন কোচিং’ মানেই কঠোর নিয়মানুবর্তিতা। এখানে প্রতি দুটি বা তিনটি ক্লাসের পরে ৫০ নম্বরের একটি করে মক টেস্ট নেওয়া হয়। পরপর দুটি মক টেস্টে ৬০ শতাংশ নম্বর না পেলে অভিভাবককে জানান মাষ্টারমশাই। এই কোচিং ক্লাসে অভিভাবক ছাড়া ভর্তি নেওয়া হয় না। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ছাত্র ছাত্রীরা আসেন ‘কামাল হোসেন কোচিং’ সেন্টারে।

ক্লাসের রুটিন: সকাল ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত।মাঝে বিরতি ৪৫ মিনিটের জন্য। সেই সময় টিফিন টাইম। তবে টিফিন পিরিয়ডে কেউ বাইরে যেতে পারবেন না। আর টিফিন কিনে নিয়ে আসার অছিলায় বাইরে যাওয়াও নিষেধ। টিফিন নিয়ে আসতে হবে বাড়ি থেকে। নির্দিষ্ট রুটিন অনুযায়ী ক্লাস হবে এবং প্রথম ক্লাসের দিন রুটিন দিয়ে দেওয়া হয়। সেই রুটিন অনুযায়ী কোন চ্যাপ্টারের ক্লাস কোন দিন হচ্ছে এবং কোন কোন বিষয়ের ক্লাস দশটা থেকে পাঁচটার মধ্যে কখন হবে, এই সবটাই পরিস্কার করে বুঝিয়ে দেওয়া থাকে। ঠিক এভাবেই ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দেন মাষ্টারমশাই কামাল হোসেন। ক্লাসের মধ্যে মাঝে মাঝেই নীতিমূলক আলোচনা করা হয়। প্রাক্তন ছাত্ররা এসে তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা বলেন, মনোবল যোগান বর্তমান শিক্ষার্থীদের।

সবশেষে, হেরে যাওয়া মানে সব শেষ হয়ে যাওয়া নয়, কিন্তু যদি হার স্বীকার করে নেন তাহলে জেতার শেষ আশাটাও আর থাকে না। তাই প্রতিমুহূর্তে সরকারি পরীক্ষায় জয়ী হওয়ার জন্য ছাত্র ছাত্রীদের প্রস্তুত করতে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন মাষ্টারমশাই কামাল হোসেন(Kamal Hossain)।













































































































































