বেড়ানোর আনন্দ গড়িয়েছে বিষাদে। বিশাখাপত্তনম যাওয়ার পথে ওড়িশায় ভাঞ্জানগরে বাস দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ উদয়নারায়ণপুর। প্রতিবছরই উদয়নারায়ণপুরের সুলতনাপুরের মানুষ বাসভাড়া করে ঘুরতে যান। এর জন্য প্রতি মাসে তাঁরা কিস্তিতে টাকা জমা করতেন। কখনও উত্তর ভারত, কোনওসময় দক্ষিণ ভারত বাস ভাড়া করে ঘুরতে বেড়িয়ে পড়তেন তাঁরা। এবার তাঁরা ওড়িশার দারিংবাড়ি, অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম ঘুরতে বেড়িয়েছিলেন। ভলভো বাস ভাড়া করে সুলতাপুরের দেঁড়ে পাড়া, পাত্রপাড়া-সহ ওই এলাকার প্রায় ৬৭ জন গিয়েছিলেন ঘুরতে। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন রিমা দেঁড়ে। সামনের জৈষ্ঠ্য মাসেই বিয়ের ঠিক হয়ে গিয়েছিল তাঁর। বাবা, মা ও বোনের সঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসেই ছিলেন রিমা। ঘটনাস্থলেই মারা যান রিমা ও তাঁর মা মৌসুমী দেঁড়ে। তাঁর বোন মেঘনা ও বাবা হারাধন গুরুতর জখম অবস্থায় ভাঞ্জানগর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

দুর্ঘটনার খবর সুলতানপুরে এসে পৌঁছোতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতদের আত্মীয়-বন্ধুরা। ভোরেই ওড়িশার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন নিহত ও আহতদের বাড়ির লোকেরা। সকালেই এলাকায় ঘিরে দুর্ঘটনার কবলে মানুষদের পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে কথা বলে সমবদনা জানান এলাকার বিধায়ক সমীর পাঁজা। তিনি ওড়িশার প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে বিধায়ক সমীর পাঁজার সঙ্গে কথা বলে নিহত ও আহতদের বাড়ির লোকেদের পাশে থাকার নির্দেশ দেন। সমীর বলেন, দেহগুলি সড়কপথে দ্রুত নিয়ে এসে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সবাই এই ঘটনায় সমব্যথী। গোটা এলাকাই কার্যত শোকে মুহ্যমান। রাতে বা বৃহস্পতিবার সকালে দেহগুলি এলে উদয়নারায়ণপুরেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন- ভেনম-এর বিকল্প: সাপের কামড়ের চিকিৎসায় ট্যাবলেট, ট্রায়ালে সফল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ







































































































































