অর্জুন তৃণমূলে ফিরতেই বিজেপির KDSA গ্যাংকে কটাক্ষ তথাগতর

0
3
ঊনিশের লোকসভা আর একুশের বিধানসভা ভোটের আগে প্রতিদিন সামিয়ানা টাঙিয়ে যোগদান মেলার নামে দলবদলের হিড়িক তুলেছিল বঙ্গ বিজেপি। যার মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন তৎকালীন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এছাড়া শিবপ্রকাশ এবং অরবিন্দ মেননও সমস্ত সিদ্ধান্ত নিতেন। কিন্তু ভোটে ভরাডুবির পর দিলীপ ছাড়া বাকি তিনজনে বাংলা ছাড়া।


অন্যদিকে, বিধানসভায় বিজেপি পর্যুদস্ত হওয়ার পর ঠিক উল্টো চিত্র দেখা গিয়েছে। যাঁরাই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তাঁরাই একে একে ঘরে ফিরছেন। যার নবতম সংযোজন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। বিজেপির টিকিটে জিতে সাংসদ হয়েছেন। রাজ্য বিজেপি অর্জুনকে সাংগঠনিক পদে এনে সহ-সভাপতি করেছিল। বেশ কয়েকটি নির্বাচনে অর্জুনকে পর্যবেক্ষক করা হয়েছিল। খুব স্বাভাবিকভাবেই মুকুল রায়ের মতো অর্জুন সিংও বিজেপির হাঁড়ির খবর জানেন।



মুকুল, রাজীব, সব্যসাচীদের মতোই এবার অর্জুন সিংয়ের তৃণমূলের প্রত্যাবর্তনে বেজায় চটেছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। তবে এই ঘটনায় অর্জুন নয়, তথাগতর নিশানায় সেই KDSA গ্যাং। বিজেপিতে আসা তৃণমূল নেতাদের ঘর ওয়াপসির জন্য কৈলাস, দিলীপ, শিবপ্রকাশ এবং অরবিন্দ মেননকেই সরাসরি দায়ি করেছেন তিনি। এবং
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গেরুয়া শিবিরের অন্দরে ট্রয়ের ঘোড়া ঢুকিয়ে দেওয়ার কাজে সফল হয়েছে বলেই বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বের একাংশকে কটাক্ষ করেছেন তিনি।
KDSA গ্যাংকে টুইটে খোঁচা দিয়ে তথাগত রায় লেখেন, “মমতা, আপনি বিজেপির ভিতরে ট্রয়ের ঘোড়া ঢুকিয়ে দিতে সফল হয়েছেন। কেডিএসএ গ্যাং তাঁদের জামাই আদর করে দলে স্বাগত জানিয়েছে। তাঁদের টাকা দিয়েছে, টিকিট দিয়েছে, সব দিয়েছে। বিজেপিকে হাসির পাত্র করে তুলেছে কেডিএসএ।” অর্জুন সিংয়ের ঘর ওয়াপসিকে স্বাগত জানিয়েছেন তথাগত রায়। কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করেই লিখেছেন, “এবার বাকিদেরও নিয়ে নিন। সঙ্গে কেডিএসএ-কেও নিয়ে নিন। আপনি এখন মুখ্যমন্ত্রী। আর কী চাই আপনার?” টুইটে কার্যত নিজের দলের নেতাদের তথাগতবাবু অপদার্থ বলেই ব্যাখ্যা করতে চাইলেন।