অভিনেত্রী পল্লবী মৃত্যুরহস্যে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যত সময় এগোচ্ছে, ততই বেরিয়ে আসছে পল্লবীর লিভ-ইন-পার্টনার সাগ্নিকের সম্পর্কে একের পর এক তথ্য। ইতিমধ্যেই জানা গেছে, পল্লবীর মতোই একইভাবে আত্মঘাতী হয়েছিলেন সাগ্নিকের পুরোনো প্রেমিকাও। সাগ্নিকের বন্ধু রেহান জানান, ২০১২-২০১৩ সালে সৌমি নামক একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সাগ্নিক। তবে সম্পর্ক চলার কিছুদিনের মধ্যেই ২০১৩ সালে আত্মঘাতী হন সৌমি। সেই আত্মহত্যার কারণও অজানা। সাগ্নিকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে আর্জি জানিয়েছেন সৌমির পরিবারও।
আরও পড়ুন:শিয়ালদহ পৌঁছানোর আগেই ট্রেন থেকে কন্যা অঙ্কিতাকে নিয়ে “উধাও” মন্ত্রী পরেশ অধিকারী!
অভিনেত্রী পল্লবী দের রহস্যমৃত্যুতে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পরে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর লিভ ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তী । মঙ্গলবার সন্ধেয় সাগ্নিককে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার সাগ্নিকের বিরুদ্ধে খুন, আর্থিক প্রতারণা সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের করে পল্লবীর পরিবার। তার পর সোমবার সকাল থেকে গড়ফা থানায় সাগ্নিক এবং তাঁর মা-বাবাকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি অতুল ভি।
পল্লবীর পরিবারের অভিযোগ, পল্লবী এবং তাঁর মায়ের অ্যাকাউন্ট থেকেও বিপুল অঙ্কের টাকা সাগ্নিকের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। রাজারহাটে সাগ্নিকের নামে যে ৮০ লক্ষের ফ্ল্যাট কেনা হয়, তার অনেকটাই পল্লবী দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, সাগ্নিককে অডি গাড়িও কিনে দেওয়া ছাড়াও, ব্যাঙ্কে পল্লবীর ১৫ লক্ষ টাকার যে ফিক্সড ডিপোজিট ছিল, তাতে নমিনি হিসেবেও অভিনেত্রী সাগ্নিকের নাম যোগ করেছিলেন বলে দাবি তাঁর পরিবারের সদস্যদের।
পুলিশ সূত্রে খবর, সাগ্নিক এবং পল্লবীর মধ্যে টাকার লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। তবে, মোটা অঙ্কের অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফারের প্রমাণ মেলেনি। দু’জনের চ্যাট হিস্ট্রিতে টাকা পয়সা সংক্রান্ত গোলমালের কোনও তথ্যও মেলেনি। তবে সাগ্নিক যে নিজের আয় সংক্রান্ত ভুল তথ্য দিয়েছেন, তা নিয়ে সন্দেহ নেই বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শোনা যাচ্ছে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি এবং তথ্যের সঙ্গে সাগ্নিকের বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.