মিস্টার কলকাতার পর এবার মিস্টার ইন্টারন্যাশনাল। পাঁচশোর বেশি প্রতিযোগীদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে খেতাব জয় করলেন বঙ্গতনয় সৌমাল্য। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই সৌমাল্যর হাতে দু’দুটো পদক। অভিনেতা আরবাজ খানের হাত থেকে মিস্টার ইন্টারন্যাশন্যালের প্রথম রানার আপের খেতাব জিতে নিলেন তিনি। সৌমাল্যর লক্ষ্য এখন আরও বড় খেতাব জয়।
আরও পড়ুন: বধিরদের অলিম্পিকে ভারতের জয়জয়কার, ব্যাডমিন্টনে সোনা জিতে ইতিহাস শ্রেয়া শ্রিংলার
ছোটবেলা থেকে মায়ের হাত ধরে ডিবেট, থিয়েটার, পাবলিক ফোরামে অংশ নিতেন সৌমাল্য। এরপর নিজের ভালোলাগা থেকে মডেলিং জগতে পা রাখেন তিনি। তবে পড়াশুনোতে এতটুকুও ফাঁক রাখেননি তিনি। ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্র সৌমাল্য রোজ নিয়ম করে ক্লাস করেন। কলেজে এখন তিনি রীতিমত ‘ফেমাস’। কলেজের বন্ধুরা তাঁকে নিয়ে মাতামাতি করলেও তাতে খুব একটা পাত্তা দিতে নারাজ সৌমাল্য। তাঁর লক্ষ্য এখন ‘মিস্টার ইউনিভার্স’-এর খেতাব জয়। আর সেই লক্ষ্যেই গুটিগুটি পায়ে এগোচ্ছেন তিনি।
বিশ্ববাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সৌমাল্য জানান, ‘হার্ড ওয়ার্ক আর ফোকাস ঠিক থাকলে লক্ষ্যপূরণ নিশ্চয়ই সম্ভব’। মিস্টার ইন্টারন্যাশল্যালের পর আরও বড় মঞ্চে অংশ নিতে হবে তাঁকে। সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছেন সৌমাল্য। তাই কিছুটা হলেও লাইফস্টাইল পাল্টেছেন তিনি। নিয়মিত শরীরচর্চা আর ডায়েট ফলো করা ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ের বই এখন সৌমাল্যর নিত্যসঙ্গী। আর পড়াশুনো? সৌমাল্যর বিশ্বাস, ‘পড়াশুনো কখনই আমার লক্ষ্যপূরণের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে না। পড়াশুনো করলে তবেই তো আরও জানতে পারব। আমার আস্থা পড়াশুনোই আমাকে আমার লক্ষ্যপূরণে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’’
মাত্র ১৯ বছরেই ঘরে দু’দুটো পদক। ঘরের ছেলের এই পদক জয়ে উচ্ছ্বসিত সৌমাল্যর পরিবার। বাবা-মায়ের সঙ্গে সঙ্গে সৌমাল্যর স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে এখন তাঁর পাশে গোটা পরিবার। সকলেই চান, আরও বড় পদক ঘরে নিয়ে আসুক সৌমাল্য।