যোগীর রাজ্যে এবার মমতার ‘বঙ্গভবন’

0
3

বিজেপি  শাসিত আইকনিক রাজ্যে দুর্নীতি, অনুন্নয়ন,সীমাহীন দুর্নীতি, বেকারত্ব থেকে মুক্ত করতে নতুন উদ্যোগ নিল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লোকসভা কেন্দ্রেই ‘বঙ্গভবন’ গড়তে চলেছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই বঙ্গভবনের নকশার কাজ রাজ্যের পূর্ত দফতরকে শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এমনকী এই বিষয় নিয়ে বৈঠকও করেছেন মুখ্যসচিব। উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় বেনারসে ‘বঙ্গভবন’ তৈরির ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই অনুযায়ীই এবার শুরু হল কাজ।

আরও পড়ুন:শান্ত পাহাড়কে অশান্ত করার চক্রান্ত গুরুংদের, GTA নির্বাচনের বিরোধিতায় এবার অনশনে মোর্চা


পাখির চোখ ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই মোদি না মমতা? দিল্লির মসনদ এবার কার? সেনিয়ে গুঞ্জন উঠেছে। উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া মিলেছে উত্তরপ্রদেশবাসীর। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন অগণিত মানুষ। তৃণমূল শাসিত বাংলার মতো রাজ্য পেতে আগ্রহী উত্তরপ্রদেশবাসীও। তাই দুর্নীতিমুক্ত উত্তরপ্রদেশ গড়তেই ‘বঙ্গভবন’ গড়ার সিদ্ধান্ত মমতার।

নবান্ন সূত্রের খবর, এক একরের সামান্য কম জমি চিহ্নিত করে ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাবিত ‘বঙ্গভবন’ তৈরির কাজ করবে রাজ্য সরকার। যদিও বৈঠকে পূর্ত দফতর জানিয়েছেন নকশা চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রস্তাবিত ‘বঙ্গভবন’ তৈরির জন্য কত খরচ পড়বে তা এখনও বলা যাচ্ছে না।  অন্যদিকে, বেনারসে বহুতল নির্মাণের জন্য ফ্লোর এরিয়া রেশিও (এফ এ আর) কত তা জানার জন্য ইতিমধ্যেই সরকারিভাবে বেনারস পুর নিগমের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে।

জানা গেছে,বারাণসীতে কোচবিহারের রাজাদের একটি সম্পত্তি রয়েছে। বাঙালিটোলার ঢিলছোঁড়া দূরত্বে সোনারপুরা রোডের উপর রাজাদের প্রাসাদ আছে। তাকে হাওয়া মহল বলে। সেখানে পাঁচটি শিব মন্দির, বড়মা–ছোটমা দুটি কালী মন্দির, রাধাগোবিন্দের মন্দির, বৃদ্ধাবাস ছাড়াও এক একর ফাঁকা জমি রয়েছে। সেই জমিতেই নয়া ‘বঙ্গভবন’ তৈরির প্রস্তাব রয়েছে।


ইতিমধ্যেই পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা ও বেনারসের প্রস্তাবিত জমি পরিদর্শন করে এসেছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। প্রস্তাবিত বঙ্গভবন তৈরির জন্য ফ্লোর এরিয়া কত প্রয়োজন তার উত্তর এলেই নকশা প্রস্তুত করবে রাজ্য পূর্ত দফতর। যদিও এই নকশার কাজ তৈরিতে খুব একটা বেশি সময় লাগবে না বলেই দাবি পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের।