কংগ্রেস জনবিচ্ছিন্ন- অবশেষে উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে মেনে নিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি এবং ওয়ানাডের সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। চিন্তন বৈঠকে দলের নেতা-কর্মীদের ভোকাল টনিক দিতে যতই বিজেপির বিরোধী শক্তি হিসেবে দলকে তুলে ধরার চেষ্টা করুন না কেন, রাহুল মানলেন যে জনগণের সঙ্গে কংগ্রেস টান চিহ্ন হয়েছে। আর সেই সম্পর্ক জোড়া লাগাতে অক্টোবর মাসে সম্পর্ক যাত্রা করা কথাও ঘোষণা করেন কংগ্রেসের (Congress) অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)।
রবিবার, উদয়পুরে তিনদিনের ‘চিন্তন শিবিরে’র শেষদিনে রাহুল বলেন, ‘‘আমাদের মেনে নিতে হবে যে মানুষের সঙ্গে কংগ্রেসের যোগাযোগ ছিন্ন হয়েছে। সেই সম্পর্ক জোড়া লাগাতে হবে। এর জন্য জনসংযোগকে শক্তিশালী করতে হবে। এর কোনও শর্টকাট নেই। কঠোর পরিশ্রমই একমাত্র পথ।’‘
ঝাড়ুর দাপটে পঞ্জাব থেকে ক্ষমতা-হারা কংগ্রেস। বাংলায় সাইনবোর্ড মাত্র। অপ্রাসঙ্গিক উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র-সহ বিভিন্ন রাজ্যে। সেকথা বিলক্ষণ বুঝেছেন রাহুল গান্ধী। সেকারণেই চিন্তন বৈঠকে তিনি স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার কথা। তিনি বলেন, এটা মেনে নিতে হবে যে কংগ্রেস জনসাধারণের থেকে বিচ্ছিন্ন। সেই সম্পর্ক জোড়ার কোনও শর্টকাট নেই। রাহুল গান্ধী বলেন, পার্টিকে বাস্তব মানতে হবে। ফের সংযোগের জন্য মানুষের মধ্যে গিয়ে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
ছেঁড়া তার জুড়তে অক্টোবরে দেশজুড়ে সম্পর্ক যাত্রা করবে কংগ্রেস- জানালেন সোনিয়া গান্ধীI ১৯৪২ সালে কংগ্রেস ‘ভারত ছাড়ো‘ আন্দোলনের কথাকে মাথায় রেখেই ২০২২-এর অক্টোবরে কংগ্রেস ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ করবে। এই যাত্রার মধ্যে দিয়ে দেশের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করবে দল। ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীর দিন থেকে ‘কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু করবে কংগ্রেস। দলের সব নেতাকে এই যাত্রায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এটাই কংগ্রেসের নতুন সম্পর্ক। এক-দুদিন নয়, কৃষক-শ্রমিকদের মধ্যে কয়েক মাস কাটান- কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের বার্তা রাহুলের। তিনি নিজেই বিজেপির বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীদের পাশে থেকে লড়াই করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন কংগ্রেস সাংসদ।
আরও পড়ুন- তৃণমূল থেকে আসা নেতারা বিজেপিতে গুরুত্বহীন: নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের আগে বিস্ফোরক অর্জুন