২০১৯এর আতঙ্ক ফের ফিরে এল। বউবাজারের দুর্গাপিতুরি লেনের ২৩টি বাড়ি ভাঙার পর আরও ২টি বাড়ি ভাঙার কথা জানিয়ে দিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। রবিবার দিন সকালে ঘটনাস্থলে যান তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িগুলি পুরোপুরি ভেঙ্গে ফেলা হবে কিনা , তা নিয়ে চলে বিস্তর আলোচনা। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। ৭ দিনের মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদেরকে ক্ষতিগ্রস্থ ও বিপজ্জনক বাড়িগুলির পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।



আরও পড়ুন:মেডিক্যাল টেস্টে ‘পুরুষ’ হলেও পুলিশে চাকরি মহিলার, বম্বে হাইকোর্টের যুগান্তকারী রায়


অন্যদিকে রবিবারের বৈঠক শুরুতেই মেট্রোর তরফে এলাবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন KMRCL কর্তারা।উপস্থিত ছিলেন KMRCL-এর জেনারেল ম্যানেজার সি এন ঝাঁ। অবশ্য ক্ষমা চাইলেও মেট্রো বিপর্যয়ের এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে বউবাজার। বারবার মেট্রোর একই ‘গাফিলতি’ তাঁরা ক্ষমা করবে না বলেই মত অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্তের। অবিলম্বে স্থায়ী সমাধান চাই বলেই মত প্রকাশ করেছেন বৈঠকে উপস্থিত ক্ষতিগ্রস্ত বউবাজারের বাসিন্দারা।



বৈঠক শেষে মেট্রোর তরফে বলা হয়, ফাটল ধরা বাড়িগুলির মধ্যে দুর্গাপিতুরি লেনের ১৬ এবং ১৬/১ এর দুটি বাড়ি ভেঙে ফেলতে হবে। KMRCL এর তরফে বলা হয়, ”আপাতত দু’টি বাড়ি ভাঙা হবে। সোমবার থেকেই বাড়িগুলি ভাঙার কাজ শুরু হবে। তবে মেয়র সাহেব যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন। আমরাও আইআইটি রুড়কির ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে সাহায্য চেয়েছি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মোতাবেক আগামীদিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যে বাড়িগুলি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রয়েছে, সেগুলিকে ভেঙে পুনরায় তৈরি করা হবে কিনা, তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

বৈঠকে উপস্থিত তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের দাবি তোলেন। বলেন, ”আমি প্রতি ১৫ দিন অন্তর এসে দেখব, কতদূর কাজ এগোল। কী পরিস্থিতি তা খতিয়ে দেখব। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয় হলেও রাজ্য সরকারের তরফেও সমস্তরকম সাহায্য করা হবে।”

Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.





























































































































