রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেই শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হলেন রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। বৃহস্পতবার এই ঘোষণা করেন দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। ৭৩ বছরের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বৃহস্পতিবার শপথ নিলেন। বুধবারই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় গোতাবায়া ঘোষণা করেন, এই সপ্তাহেই নতুন প্রধানমন্ত্রী ও ক্যাবিনেট শপথ নেবে। এর পরেই বৃহস্পতিবার নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের খবর এল দ্বীপরাষ্ট্র থেকে। যদিও নতুন মন্ত্রিসভা গঠন কবে হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
আরও পড়ুন:অশনির প্রভাব কাটতেই বঙ্গে শুরু গুমোট গরম
২০২০ সালে শ্রীলঙ্কার সাধারণ নির্বাচনে জিতে মাহিন্দা রাজাপক্ষে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। তার আগে ২০১৮-’১৯ সালে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন রনিলই। দ্বীপরাষ্ট্রে চরম অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেই ফের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন শ্রীলঙ্কার ইউনাউটেড ন্যাশনাল পার্টির সদস্য ৭৩ বছরের রনিল।
কূটনৈতিক মহলে রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে তাঁর ভারতপন্থী অবস্থানের জন্যি পরিচিত। যদিও প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করলেও দেশের বর্তমান অচলাবস্থা শিগগিরি কাটার লক্ষণ নেই। পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা পালিয়ে বাঁচলেও দফায় দফায় দেশের বহু নেতার বাড়িতে চড়াও হয়ে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে আগুন। বিক্ষোভকারীদের দেখলেই গুলি করে ফতোয়া জারি হয়েছে,তাকে পাত্তাই দিচ্ছেন না ক্ষুব্ধ জনতা। চরম সঙ্কটে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ উপরে পড়েছে ক্ষমতাসীন নেতা-মন্ত্রীদের উপর। দেশের সিংহভাগ মানুষেরই দাবি, শুধু প্রধানমন্ত্রীই নয়, প্রেসিডেন্টকেও বদল করতে হবে। বোঝাই যাচ্ছে, শ্রীলঙ্কাবাসীর ক্ষোভের মূল লক্ষ্য এতদিন ধরে ক্ষমতা ভোগ করে আসা রাজাপক্ষের পরিবারের উপর। আদালতের রায়েও বিপাকে পড়েছে রাজাপক্ষের পরিবার। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের পরিবারকে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.