‘বউবাজারে ফাটলগুলি বিপজ্জনক। আড়াই বছর আগেই দেওয়া হয়েছিল নোটিস।কিন্তু তা খতিয়ে দেখননি মেট্রোর ইঞ্জিনিয়াররা।’ বউবাজারের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে মেয়রের ধর্ম পালন করে মানুষদের আগে বাঁচানোর কথা বলে একথা বলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। অন্যদিকে, এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, মেট্রো রেলের কাজের জন্য যদি ফাটল ধরে থাকে, তবে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষেরই যোগাযোগ করার কথা ছিল ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির বাসিন্দাদের সঙ্গে।কিন্তু তারা কেউই খবর নিতে আসেননি। ঘটনাস্থলে এসেছেন কলকাতা পুলিশ।
আরও পড়ুন:২২টি কুকুরের সঙ্গে ১১ বছরের ছেলে গৃহবন্দি, উদ্ধার করল পুলিশ
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর মেয়র জানান, ‘কলকাতা পুরসভার তরফে বাড়িগুলির অ্যাসেসমেন্টের কাজ শুরু করবে। রিপোর্ট এলে এ নিয়ে নবান্নে বৈঠক করা হবে। যাতে মানুষগুলোকে বিপদের মুখে পড়তে না হয়,সেটা আগে দেখতে হবে।’
মেট্রোর কাজের জেরে বউবাজারে একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরেছে। বুধবার সন্ধের পর থেকে অন্তত ১০টি বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার আরও বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল ধরে। বুধবার রাত থেকেই এলাকার বাড়িগুলি অনবরত খালি করার ব্যবস্থা করছে কলকাতা পুলিশ। বাসিন্দাদের ইতিমধ্যেই হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেয়রা ফিরহাদ হাকিম বৃহস্পতিবার পরিদর্শনে এসে জানান, ‘মেট্রোর তরফে বাড়িগুলি বিপজ্জনক জেনেও কী করে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়া হল’? একই ক্ষোভ জানিয়েছেন এলাকার বিধায়কও।
এদিন সকাল থেকেই বউবাজারের দুর্গাপিতুরি লেনে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। আজ, বৃহস্পতিবার দুর্গাপিতুরি লেনের আরও কয়েকটি বাড়িতেও ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে সেই বাড়িগুলিতে এখনও বিপদ মাথায় নিয়েই রয়ে গিয়েছেন বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ, দমকলের কর্মীরা ঘুরছেন। ফাটল ধরা বাড়িগুলির বাসিন্দাদের অবলম্বে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
বউবাজারের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এদিন সকালেই ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম গোটা এলাকা ঘুরে দেখে বলেন, ”এগুলি ভিতের বাড়ি। নীচের মাটি বসে যেতেই বিপত্তি। ২০১৯-এর গাফিলতির পরিণাম এই ফাটল। পাশপাশি মেট্রো কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তোলেন মেয়র।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.