জুয়া-ঋণ-পারিবারিক অশান্তিতে অবসাদগ্রস্ত ছিলেন বিজেপি নেতা অর্জুন, উঠে আসছে তদন্তে

0
3

যে কোনও মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক। বেদনাদায়ক। তা সে যে কারণেই হোক না কেন। উত্তর কলকাতার কাশীপুরের বিজেপি যুবমোর্চা নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার রহস্যমৃত্যুও অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে সেটা মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি আরও দুর্ভাগ্যের। যেটা রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল খুব পরিকল্পনামাফিক করে চলেছে। ব্যক্তিগত কারণে হত্যা বা আত্মহত্যাকে রাজনৈতিক খুন বলে চালানোর অপচেষ্টা করে অতীতেও মুখ পুড়েছে বিজেপির।

এবার কাশীপুর কাণ্ডে যুবমোর্চা নেতার মৃত্যুর কারণ মোটামুটি পরিস্কার। অন্তত আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট দেখে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, হত্যা নয় এক্ষেত্রে আত্মহত্যার সম্ভাবনাই প্রবল। তদন্তকারীদের তেমনটাই অনুমান। অথচ, বিজেপি এই মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করতে গিয়ে “ভোট পরবর্তী হিংসা” বলে চালানোর চেষ্টা করেছিল।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর তদন্তকারী প্রাথমিকভাবে “আত্মহত্যা” ধরে নিয়েই এগোতে চাইছেন। কিন্তু ঠিক কী কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছে অর্জুনকে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারীদের হাতে।

 

জানা গিয়েছে, বাজারে বেশ মোটা টাকা ধার ছিল অর্জুনের।

একাধিক ব্যক্তির থেকে সুদে টাকা নিতেন যুবমোর্চা নেতা। ফলে পাওনাদারদের চোখরাঙানি, গালমন্দ, তাগাদা লেগেই থাকত। তদন্তে আরও উঠে এসেছে, অর্জুনের অনলাইন লটারি সহ জুয়ার নেশা ছিল। জিয়া খেলতে খেলতে সর্বস্ব খোয়াতে হয় তাঁকে। মদ্যপান করতেন বলে জেনেছে পুলিশ। মদ খাওয়ার টাকা জোগারেও পরিচিতদের অনেক সময় টাকা ধার নিতেন অর্জুন।

তবে অর্জুনের সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল পারিবারিক। যার কারণে সম্প্রতি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। হতাশ হয়ে ঘনিষ্ঠ একজন বন্ধুকেও সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন, সেই বিষয়টিও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। অবসাদ থেকেই অর্জুন আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারেন বলেও

মনে করা হচ্ছে। কারণ, ঘটনার দিন দুয়েক আগে সম্পত্তিজনিত কারণে অর্জুনের পরিবারে চরম অশান্তি হয়। প্রতিবেশিদের বয়ানে জানা গিয়েছে, বছর ২৫ আগে অর্জুনের বাবাও পারিবারিক অশান্তির জেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন। তখন অর্জুনের বয়স ছিল মাত্র ৬ মাস।