রাজভবনে ধরনা! বিজেপির ‘সুর’ ধনকড়ের কথায়, ‘বঙ্গ বিজেপির রঙ্গমঞ্চ রাজভবন’: তোপ কুণালের

0
3

এর আগে রাজভবনকে ‘বিজেপি-র কার্যালয়’ বলে কটাক্ষ করেছিল তৃণমূল (TMC)-সহ অবিজেপি রাজনৈতিক দলগুলি। এবার সেটাকে বঙ্গ বিজেপির (BJP) রঙ্গমঞ্চ বলে তোপ দাগলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। কারণ, মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎই রাজ্যের ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’য় (Post Poll violence)ক্ষতিগ্রস্তরা সঠিক ক্ষতিপূরণ পাননি এই অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকজনকে নিয়ে রাজভবনে উপস্থিত হন রাজ্য বিজেপির (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder), বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল(Priyanka Tibrewal)-সহ বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে রীতিমতো প্ল্যাকার্ড নিয়ে ধরনায় বসেন তাঁরা। এরপর রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankar) তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন। পরে বলেন, রাজ্যের ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ নিয়ে তিনি চিন্তিত। বাংলায় ভেদাভেদের রাজনীতি চলছে বলে অভিযোগ তুলে রাজ্যপাল(Governor) বলেন, রামপুরহাটে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হলেও অন্যান্য জায়গায় তা হয়নি। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের ধরনা মঞ্চ থেকে রাজভবনে (Raj Bhawan)গিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

১২ মে ব্লকে ব্লকে তৃতীয় মমতা সরকারের বর্ষপূর্তি পালন তৃণমূলের, তুলে ধরা হবে উন্নয়নের ছবিও

বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপাল ও বিজেপিকে তুলোধনা করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, রাজভবনকে বঙ্গ বিজেপির রঙ্গমঞ্চে পরিণত করা হয়েছে।রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। যদি সঠিক বিচার না হয়, তার জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তারজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাড়ির সামনে ধরনায় বসা উচিত। এক্ষেত্রে যাওয়া উচিত রাজ্যপালেরও বলে কটাক্ষ করেন কুণাল। এই ধরনের কর্মসূচিতে রাজভবনের অলিন্দ্যকে চূড়ান্ত কলুষিত করা হল বলেও মন্তব্য করেন কুণাল। তিনি বলেন, বিজেপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে, এসব করে খবরে থাকতে চাইছে। কাশীপুরের (Cossipore) ঘটনায় কম্যান্ড হাসপাতালের (Command Hospital) রিপোর্টেই দেখা যাচ্ছে অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃত্যু গলায় ফাঁস গেলেই হয়েছে এবং মৃত্যু আগে কোনও প্রতিরোধ হয়নি। শরীরে কোথাও আঘাতের চিহ্ন নেই। অথচ অমিত শাহ রাজ্য এসে ‘রাজনৈতিক খুন’ বলে সরব হলেন। বিজেপিও তা নিয়ে জনঘোলা করল। এবার তাঁদের উচিত জনগণকে বিভ্রান্ত করা জন্য ক্ষমা চাওয়া।

যে কোনও বিষয় নিয়ে রাজ্যের বিরোধিতা করে, বিজেপির পক্ষ নিয়ে সরব হন ধনকড়। তাঁদের বিজেপির সবচেয়ে সক্রিয় নেতা বলে কটাক্ষ করেন বিরোধীরা। বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যে কার্যত বিজোপি হয়ে গলা ফাটাল রাজ্যপাল। এবার রাজভবনকে রাজনৈতিক দলের ধরনামঞ্চে পরিণত করল বিজেপি।