ডলারের তুলনায় ফের পড়ল টাকার দাম, আরও বাড়তে পারে মুদ্রাস্ফীতি

0
1

ডলারের(Dollar) তুলনায় হুড়মুড়িয়ে দাম পড়তে শুরু করেছে টাকার(Rupess)। সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিনে মার্কিন ডলারের তুলনায় টাকার দাম নেমে আসে ৭৭.৪০ টাকায়। যার জেরে দুশ্চিন্তা বাড়ছে আর্থিক বিশেষজ্ঞদের(Economic expart)। পরিস্থিতি যা তাতে মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার ১ মার্কিন ডলারের হিসেবে টাকার দাম ছিল ৭৬ টাকা ৯০ পয়সা। এরপর টাকার মুল্য কমতে কমতে তা দাঁড়ায় ১ ডলার সমান ৭৭.১৭ টাকা। সোমবার তা পৌছয় ৭৭.৪০ তে। অর্থাৎ শুক্রবারের তুলনায় টাকার দাম পড়েছে ৫২ পয়সা। আরথিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, দেশের ইতিহাসে কোনওদিন টাকার দর এই পরিমাণ পড়ে যায়নি এক ডলারের তুলনায়। অনুমান করা হচ্ছে এর কী কী সেই প্রতিক্রিয়া? একনজরে দেখে নেওয়া যাক।

আরও পড়ুন:কাব্য চর্চায় নিরলস সাধনা: ‘কবিতা বিতান’-এর জন্য বাংলা আকাদেমি পুরস্কার মমতাকে

বিশেষজ্ঞদের দাবি, টাকার দর পড়ার ফলে আরও বেড়ে যাবে দেশের মুদ্রাস্ফীতি। চড় চড় করে বাড়তে পারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম। বিশেষত জ্বালানির অর্থাৎ পেট্রল-ডিজেলের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে পারে। পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়লে তা পরিবহন ব্যবসায় আঘাত হানবে। আর পরিবহন ব্যবসায় আঘাত এলে সার্বিকভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বাড়বে। শুধু তাই নয়, বর্তমানে দেশের এক বিরাট অংশের মানুষ বিদেশে থাকেন। পড়াশোনা হোক বা গবেষণা দেশের এক বিরাট অংশের মানুষকে বিদেশের মাটিতে থেকে তা চালাতে হয়। এছাড়া বিদেশে চাকরিও করেন অনেকে। তাঁদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট চাপ আসতে চলেছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই দেশে টাকার দাম পড়লে এবং ডলারের দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই যাঁরা বাইরে পড়াশোনা করছেন তাঁদেরকে অতিরিক্ত মূল্য দিতে হবে। এছাড়া যাঁরা বিদেশে চাকরির জন্য আছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ডলার সেক্ষেত্রে বাড়িতে পাঠাতে হবে।