‘অশনি’-র সঙ্কেত আসার আগেই নবান্নে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর

0
2

গতি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। মঙ্গলবার থেকে ওড়িশার দিক ঘুরতে পারে ‘অশনি’-র গতিপথ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গে সরাসরি ‘অশনি’-র প্রভাব না পড়লেও এর জেরে বৃষ্টিতে ভাসতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা।বঙ্গে ‘অশনি সংকেত’ আসার আগেই নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে ঘূর্ণিঝড়ে মোকাবিলার বিষয়টি আলোচনা করেন তিনি। বৈঠকের শেষে তিনি জানান, নবান্ন থেকে ঝড়ের প্রতিটি মুহূর্তের নজরদারি চালাবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন:চোখরাঙাচ্ছে ‘অশনি’, বঙ্গে শুরু বৃষ্টি

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, অশনির প্রভাবে সোমবার রাত থেকেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও নদিয়া জেলায়। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টি নামতে পারে এই জেলাগুলিতে।নবান্নে আজ মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে,’অশনি’-র মোকাবিলায় নবান্নে ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে কন্টড়োল রুম। এছাড়া উপকূলবর্তী এলাকায় ফ্লাড সেন্টারগুলোর প্রস্তুতিপর্ব প্রায় শেষ করে ফেলা হয়েছে। শুকনো খাবার, ওষুধপত্র, পানীয় জল, ত্রিপল, মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।বৈঠকে ‘অশনি’-র গতিবিধি অনুযায়ী সাধারণ মানুষকে পঞ্চায়ের স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন স্তর থেকে মাইকিং করা শুরু হয়েছে। রবিবার থেকেই চলছে জায়গায় জায়গায় সতর্কতা। মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।


ইতিমধ্যেই ১৮ থেকে ২৫টি ফ্লাড সেন্টারের প্রস্তুতি পর্ব সেড়ে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে সাধারণ মানুষকে ঝড় আসার আগেই সেন্টারগুলিতে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাগরদ্বীপ সি ব্রিজ থেকে ইতিমধ্যেই পর্যটকদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে  নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁদের সমুদ্রে আসতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের যে কোনও পরিস্থিতিতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে NDRF টিম।


এদিন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। ঝড়বৃষ্টিতে দ্রুত জল সরানোর প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে বিপর্যয় মোকাবিলা টিম ও আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলার নির্দেশে দেওয়া হয়েছে।