বিনা জ্বালানিতে ভেসে থাকতে পারে টানা একবছর, কী সেই সৌরশক্তি চালিত বিমান?

0
3

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে দূষণহীন পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে বার্ট্রান্ড পিকার্ড (Bertrand Piccard)এবং আন্দ্রে বরশবার্গ ( Andre Borschberg)বানিয়েছিলেন সৌরশক্তি চালিত বিমান ‘সোলার ইমপালস ২’( Solar Impulse 2)।

২০০৯ সালে প্রথম সফল পরীক্ষামূলক উড়ান এবং ২০১৩ সালে প্রথম দূরপাল্লার যাত্রা করেছিল ‘সোলার ইমপালস ২’। টানা  ১৮ ঘণ্টার উড়ান ভরেছিল এই সময়। ২০১৫ সালে তাঁদের তৈরি বিমান নিয়ে বিশ্ব পরিক্রমায় বেরিয়েছিলেন পিকার্ড এবং বরশবার্গ। এসেছিলেন ভারতেও।এই বিমানের ডানার বিস্তার প্রায় একটি বোয়িং-৭৪৭ জেটের সমান। কিন্তু কার্বন ফাইবারের তৈরি বলে ওজন খুবই কম। বিমানের পিঠে থাকা ডানার উপর  বসানো ১৭,২৪৮টি সোলার সেল বা সৌরকোষ। দিনের বেলায় সোলার সেলগুলিতে যে সৌরশক্তি জমা হয়, তার উপর নির্ভর করে রাতেও উড়তে পারে ‘সোলার ইমপালস ২’।

শুধু ওড়াই নয়। বিনা জ্বালানিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আকাশে স্থির হয়ে ভেসে থাকতে পারে এই সৌরবিমান।
২০১৯ সালে এই সৌরবিমানের স্বত্ব কিনে নেয় আমেরিকান-স্পেনীয় সংস্থা ‘স্কাইডোয়েলার অ্যারো’। তারা এই ‘সোলার ইমপালস ২’-এর ভেসে থাকার গুণ কাজে লাগিয়ে সেটিকে একটি উপগ্রহ হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা নেয়।

স্কাইডোয়েলার অ্যারো’-র সিইও রবার্ট মিলারের দাবি, বিনা জ্বালানিতে ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুমণ্ডলে (ট্রপোস্ফিয়ার) টানা এক বছর পর্যন্ত এক জায়গায় স্থির ভাবে ভেসে থাকতে পারে এই সৌরবিমান।পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য ব্যবহার হয় না ‘সোলার ইমপালস ২’-তে। ফলে পরিবেশ দূষণের কোনও সম্ভাবনা নেই। আশঙ্কা নেই পৃথিবীকে ঘিরে থাকা ওজোন স্তরের কোনও ক্ষতিরও।

সোলার ইমপালস ২’-এর স্বত্ব কিনে আধুনিকীকরণ করেছে ‘স্কাইডোয়েলার অ্যারো’। মিলার জানিয়েছেন, ‘সোলার ইমপালস ২’-এর চালকহীন সংস্করণও তৈরি করতে চান তাঁরা। এর ফলে ভবিষ্যতে নজরদারি বা হামলাকারী ড্রোন হিসেবেও এই সৌরবিমানকে ব্যবহার করা যাবে।

২০২৩ সাল থেকেই এই বিমানের বাণিজ্যিক ব্যবহার সম্ভব হবে বলে আশাবাদী ‘স্কাইডোয়েলার অ্যারো’-র কর্ণধার।

আরও পড়ুন- ইউনেস্কোর সম্মান বাংলার, অপমান করছে কেন্দ্র, প্রতিবাদে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব