এবার সাধারণ দর্শকদের জন্য খুলে গেল রাধা স্টুডিও তথা চলচ্চিত্র শতবর্ষ ভবন । আর প্রথম শো-ই হাউসফুল। ২৭ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন ঐতিহ্যবাহী রাধা স্টুডিওতে চলচ্চিত্র উৎসব শেষ হলেই নিয়মিত ছবি দেখানো হবে। যেমন কথা, তেমনি কাজ। সেই মত শুক্রবার ৬ মে তার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়ে গেল। দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হলো রাধা স্টুডিও যা চলচ্চিত্র শতবর্ষ ভবন নামে পরিচিত। এদিন উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, বিধায়ক এবং অভিনেতা সোহম, সাংসদ ও অভিনেতা দেব, চিত্র পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী, চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ প্রমুখ। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর যে প্রয়াস প্রত্যেক মানুষের মধ্যে কৃষ্টি-সংস্কৃতি পৌঁছে দেওয়া এবং বাংলার সিনেমাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ আজ। এখানে যে সমস্ত জনপ্রতিনিধিরা এসেছেন তারাও চান বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে। এই হল চালু হলে বাংলা সিনেমার প্রসার হবে, প্রচার হবে। সিনেমা আমাদের বাস্তব জীবনকে তুলে ধরে। অন্য সিনেমা দেখব কিন্তু বাংলা সিনেমা দেখব না এটা কখনোই হয় না। বাংলা সিনেমাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার প্রমাণ করলেন তিনি সংস্কৃতি জগতের ফ্রেন্ড, ফিলোজফার এবং গাইড। বাংলা চলচ্চিত্র বলতে সকলেই জানে টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রি । আজকের এই দিনটি বাংলার সিনেমা জগতের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। গৌতম ঘোষ বলেন, একটা প্রিভিউ থিয়েটারের দরকার ছিল। ছবি এডিট করার পর দেখাটা খুব দরকার। আমি প্রস্তাব দিয়েছিলাম এখানে একটা প্রিভিউ থিয়েটার করার জন্য। কিন্তু মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন প্রিভিউয়ের সঙ্গে যাতে এটা সাধারণ দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এই সরকারের বড় গুণ হলো কোনো আইডিয়া দিলে তা হয় । থেমে থাকে না।
দেব বলেন, সিনেমা হল আমাদের কাছে মন্দিরের থেকে কম কিছু নয়। অনেক সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে সিনেমা হল বাড়ানোর জন্য। টালিগঞ্জ চত্বরে অনেক সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। এখানে একটা সিনেমা হল খুব দরকার ছিল।
সোহমের কথায় এরকমভাবে আরো কিছু জায়গায় যদি আমরা এই ধরনের হল খুলতে পারি তাহলে বাংলা ছবি আবার সেই জোয়ারে ফিরে আসবে।
নন্দনের মতই এখানে অনলাইন এবং অফলাইনে টিকিট কাটার ব্যবস্থা থাকছে। সারাদিনে আপাতত ৩ টি শো দেখানো হবে। দুপুর একটা, বিকেল চারটে এবং সন্ধ্যে সাতটা।
সিনেমা দেখার পাশাপাশি থাকছে প্রিভিউ এর সুবিধা।
পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী জানান বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এখানে সকালের দিকে সিনেমা দেখার ব্যবস্থা করার কথা আলোচনায় রয়েছে।
যেখানে সিঙ্গেল স্ক্রিন সিনেমা হল গুলি অধিকাংশই বন্ধের মুখে সেখানে টালিগঞ্জ অর্থাৎ স্টুডিও পাড়ায় সরকারি এই ধরনের সিনেমা হল সুন্দর পরিকাঠামো তৈরি করে চালু করার ফলে বাড়বে মানুষের মধ্যে সিনেমা দেখার ঝোঁক বলছে বিভিন্ন সিনেমা প্রেমী মানুষ।
সূত্রের খবর এই হল সাধারণ দর্শকের জন্য যেদিন চালু হলো সেদিন প্রথম দুটি শো সম্পূর্ণ হাউসফুল।