কেন তৃণমূলকে ভোট, একশো শতাংশ মানুষকে গিয়ে বোঝান : কুণাল

0
2

‘বিজেপি তুমি যতই চোখ রাঙাও, বাংলার মাটিতে তোমাদের কোনো জায়গা নেই। যতদিন বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে আছেন, ততদিন বিজেপি এখানে এতটুকুও সুবিধে করতে পারবে না।’ শুক্রবার চুঁচুড়ার ঘড়ি মোড়ে হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে এক বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ ভাষাতেই বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এদিনের জনসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের হাজার হাজার কর্মী সমর্থক শামিল হয়েছিলেন। এদিন জনসভার শুরুর আগে একটি বিরাট পদযাত্রারও আয়োজন করা হয়। খাদিনা মোড় থেকে শুরু হয়েছিল এই মিছিল। মিছিলে কুণাল ছাড়াও ছিলেন  বিধায়ক অসিত মজুমদার, বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত, রাজ্য কমিটির সম্পাদক দিলীপ যাদব, বিধায়ক অরিন্দম গুইন, বিধায়ক অসীমা পাত্র, জেলা পরিষদের সভাপতি মেহবুব রহমান, পূর্ত কর্মদক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায়।  জেলা তৃণমূল সভাপতি স্নেহাশিস চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বিশাল মিছিলটি শহরের দিকে এগোতে থাকে । সেই মিছিল থেকে আওয়াজ ওঠে যেভাবে সারা দেশে অরাজকতা চলছে, যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে, তাতে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারকে গদি থেকে অপসারিত করতে হবে । তৃণমূল কংগ্রেসের এদিনের এই প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পা মিলিয়েছিলেন হাজারো জনতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী এবং অনুসারীরা।

মিছিল শেষে  চুঁচুড়ায় ঘড়ি মোড়ে হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে এক বিশাল জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই জনসভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র বলেন, বাংলার প্রকৃত উন্নয়ন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই সম্ভব। তৃণমূল ছাড়া অন্য কাউকে একটি ভোটও নয়। কেন তৃণমূলকে ভোট  দেবেন তা একশো শতাংশ মানুষকে গিয়ে বোঝান।’ কুণাল এদিন বলেন ভোটের সময়  দিল্লি থেকে আসা ডেলি প্যাসেঞ্জারি করা  বিউজেপি নেতাদের মুখে কার্যত ঝামা ঘষে দিয়েছিলেন বাংলার মানুষ। আর আজ সেই ঝাল মেটানোর জন্য  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এখানে এসে নির্লজ্জ রাজনীতি করছেন । অমিত শাহ কাশীপুরে গিয়ে সিবিআই তদন্তের কথা বলে অন্যায় করেছেন ।  দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর মুখে বিজেপি নেতাদের মতো কথা শোনা যাচ্ছে। যে কোনও মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক । আমাদের কাছে  খবর আছে যে যুবকটি মারা গেছেন তিনি কাশীপুরের এক বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতার অনুগামী ছিলেন। ক্রমশ  বিজেপির প্রতি তার মোহভঙ্গ হচ্ছিল। তাই তার মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত আগে করতে হবে। তার আগেই কী করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিবিআই তদন্তের কথা বলেন?  একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখে এসব মানায় না। অথচ যদি সিবিআই করতেই হয় তাহলে নারদা মামলায় যে শুভেন্দু অধিকারীর নাম রয়েছে সিবিআই তাকে তো কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এটা খুবই লজ্জার বিষয় । তিনি এখানে এসে সিবিআইয়ের জুজু দেখাচ্ছেন।  যদি সিবিআই করতেই হয় উত্তরপ্রদেশের পাড়ায় পাড়ায় যান । সেখানে কীভাবে প্রতিদিন শান্তি-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে,  খুন হচ্ছে ,  ধর্ষণ হচ্ছে সেটা আগে গিয়ে দেখুন।  তার পর এখানে এসে এই ধরনের কথা বলুন।

আরও পড়ুন- 356-CBI দিয়ে হবে না, মমতাকে দেখে লড়াই শিখুন! রাজ্য নেতৃত্বকে পরামর্শ অমিত শাহের