কাশীপুরে যুবকের মৃতদেহ সামনে আসার পর প্রায় ৬ ঘন্টার চেষ্টায় বিক্ষোভ সরিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আর জি কর হাসপাতালে পাঠায় চিৎপুর থানার পুলিশ। এরপরই কাশীপুরে যুবমোর্চা নেতার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। ময়নাতদন্ত আপাতত বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়েছেন নিহত যুবকের মা। এই ঘটনার মামলা গ্রহণ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। কাশীপুরে মৃত বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়ার মা’কে নিয়ে হাইকোর্টে যান বিজেপির আইনজীবী নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। তিনি এই ঘটনা কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মামলাকারী অমৃতা পাণ্ডে ও লোকনাথ চট্টোপাধ্যায়। মামলা করার অনুমতি দেব প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব।

মানলার শুনানির পর কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, কাশীপুরে মৃত যুবকের ময়নাতদন্ত হবে আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালে। বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল আদালত কক্ষ থেকে মৃত অর্জুনের মা-কে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, “এটা খুনের ঘটনা। অর্জুন এবং ওর ভাই বিনোদ ভোটের পর থেকেই ঘর ছাড়া ছিল। আমি চিৎপুর থানায় গিয়ে ওদের ঘরে ঢুকিয়েছিলাম। আদালত নির্দেশ দিয়েছে ময়নাতদন্ত হবে আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালে। কল্যাণী এইমস থেকে ডাক্তার এসে ময়নাতদন্ত করবে। এই পুলিশ ও প্রশাসনের উপর আমাদের ভরসা নেই। আমি কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতিকে সিবিআই তদন্তের জন্য বলব। এটা ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার মামলার সঙ্গে যুক্ত করা হোক।”

একই সঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশ, কম্যান্ড হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসকের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে।
যদি চান, তাহলে কল্যাণী এইমস ও এর জি করের কোনও সিনিয়র চিকিৎসক ময়না তদন্তের সময় হাজির থাকতে পারেন। গোটা ময়নাতদন্ত ভিডিওগ্রাফ হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোটা ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়ার সময় হাজির থাকবেন। অর্জুন চৌরাশিয়ার গোটা পরিবারকে পুলিশি নিরাপত্তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে।

উল্লেখ্য, আজ শুক্রবার সকালে টালা ব্রিজ সংলগ্ন কাশীপুর রেল কলোনি এলাকায় একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে বিজেপি যুবমোর্চা নেতা বছর ছাব্বিশের অর্জুন চৌরাশিয়ার দেহ উদ্ধার হয়। পরিবার ও বিজেপি সমর্থকদের দাবি খুন করা হয়েছে অর্জুনকে। এদিন কলকাতায় পা রেখেই ঘটনাস্থলে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মৃত যুবমোর্চা নেতার পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। ইতিমধ্যেই নবান্নকে এই ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছে। অমিত শাহ নিজে সিবিআই তদন্তের পক্ষে সওয়াল করেছেন।






























































































































