হায়দরাবাদের অনার কিলিংয়ের (Hyderabad Honour Killing)ঘটনায় উঠে আসছে একের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিয়ের অনেক আগেই ভাই গলায় ফাঁস লাগিয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল বোন আসরিনকে। কোনোক্রমে পালিয়ে বাঁচেন তিনি।
দীর্ঘদিনের সম্পর্ক আসরিন সুলতানা এবং নাগরাজুর। নাগরাজু দলিত সম্প্রদায়ের( Dalit Community) ছেলে। এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি আসরিনের পরিবার।দুজনে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে এর ফলস্বরুপ প্রকাশ্য রাস্তায় খুন হতে হয় নাগরাজুকে। আবার অনার কিলিংয়ের সাক্ষী হল গোটা দেশ। নৃশংস এবং বর্বরোচিত এই ঘটনার পর ইতিমধ্যেই মুল অভিযুক্ত সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ,শুরু হয়েছে তদন্ত। তারপর থেকেই প্রকাশ্যে আসছে নানা তথ্য। এমতাবস্থায় মৃত নাগরাজুর স্ত্রীর আসরিনের বিবৃতি শুনে চমকে উঠছেন পুলিশ। হিন্দু যুবককে বিয়ে করতে চান সেই কথা জানতে পেরেই তাঁর ভাই তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেন।
আসরিন জানিয়েছেন, “আমাদের বিয়ের আগে ভাই আমাকে মেরে ফেল্যে চেয়েছিল। দু’বার আমার গলায় ফাঁস দিয়ে আমাকে ঝুলিয়ে দিতে চেয়েছিল। বাঁচার জন্য আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলাম। হায়দরাবাদে এসে আমরা বিয়ে করি। সিমকার্ডও পালটে ফেলেছিলাম যাতে পরিবারের কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারে।” কিন্তু শেষরক্ষা হল না বুধবার আততায়ীদের হাতে খুন হন নাগরাজু। জানা গেছে লোহার রড দিয়ে মেরে তাঁর মাথা ভেঙে দিয়ে ছিল আততায়ীরা । দু’টি বাইকে চেপে এসেছিল তাঁরা। কেউ এগিয়ে আসেনি বাঁচাতে। পুলিশ এসেছে আধঘণ্টা পরে। বিয়ে করলে বিপদ আসতে পারে এই কথা ভেবে স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে আগাম যোগাযোগ করে রেখেছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাতেও লাভ হল না।
পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত আসরিনের ভাই ভেবেছিল ভিন ধর্মের যুবককে বিয়ে করেছে বোন,তাঁকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে হবে। প্রসঙ্গত নাগরাজুকে বাইক থেকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মারা হয়। শেষে ছুরি জাতীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়, তার ফলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এতদিন পর্যন্ত উত্তর ভারতেই দেখা যেত অনার কিলিংয়ের ঘটনা। দক্ষিণ ভারতে এহেন ঘটনা প্রায় ঘটে না বললেই চলে। পরিস্থিতি দেখে হিন্দু-মুসলিম বিভেদ উস্কে দিয়ে পথে নেমেছে বিজেপি (BJP)।