বঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ, শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শুরুতেই কোচবিহারের তিনবিঘা করিডরে গিয়ে বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিদর্শন করেন। এরপর কলকাতায় এসে বিমানবন্দর থেকে সোজা চলে যান কাশীপুরের ঘটনাস্থলে। যেখানে বিজেপি যুবমোর্চা নেতার মৃতদেহ উদ্ধার হয়, সেই পরিত্যক্ত বাড়ির ভিতরে যান। সঙ্গে ছিলেন নিশীথ প্রামানিক, শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার। কথা বলেন মৃত যুবকের পরিবারের লোকেদের সঙ্গেও।
এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অমিত শাহ দাবি করেন, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই আমাদের যুবমোর্চা নেতা অর্জুন চৌরাসিয়াকে খুন করা হয়েছে। তৃণমূলে সকারের প্রথম বছরের দ্বিতীয় দিনেই এমন ঘটনা খুব দুর্ভাগ্যজনক। এই ঘটনার তদন্ত হবে। দোষীরা কেউ ছাড়া পাবে না। প্রকৃত সত্য সামনে আসার জন্য ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে যাতে ময়নাতদন্ত করা হয়, তার জন্য বিজেপির তরফে হাইকোর্টে যাওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের কাছেও কাছে রিপোর্ট চেয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।”
রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুলে তিনি আরও বলেন, “বাংলার মানুষকে বলতে চাই, আগে কংগ্রেস করতো, এখন তৃণমূল করছে। হিংসা ও হত্যার মাধ্যমে ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে। অর্জুন চৌরাসিয়ার দিদাকেও নিগ্রহ করা হয়েছে।
জোর করে দেহ ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।” পাশাপাশি এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অন্যদিকে, অমিত শাহকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “সিবিআই তদন্তের কথা অমিত শাহের মুখে মানায় না। সিবিআই থেকে বাঁচতে এফআইআর-এ নাম থাকা শুভেন্দু অধিকারী ওনার সঙ্গে ঘুরছেন। সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন উনি, তার আগে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তদন্ত করান।”