উত্তরপ্রদেশে বোর্ডের পরীক্ষায় (UP Board Exam)এক ছাত্রীর আবদারে দেখে ভিরমি খেলেন শিক্ষকরা (Teacher)। সেই আবদার ছাত্রীটি করেছেন একেবারে পরীক্ষার খাতায়। রাজ্যে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা চলছে। সবাই যখন উত্তর লিখতে ব্যস্ত ওই ছাত্রী লিখলেন আর্জিপত্র। সেই আর্জি পড়ে স্থম্ভিত পরীক্ষকেরা।

এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, ‘গুরুজি, আমার তিন তিন বার বিয়ে ভেঙে গিয়েছে। অবশেষে  আমার পরিবার একটা সম্বন্ধ ঠিক করেছে। কিন্তু পাত্র শর্ত রেখেছে, দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই আমাকে বিয়ে করবে। আমার বিয়ে নিয়ে মা-বাবা খুব দুশ্চিন্তায় আছেন। দয়া করে পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিন। যাতে বিয়েটা হয়ে যায়!’ পরীক্ষার খাতায় ছাত্রীর এমন আবেদনে
স্থম্ভিত হয়ে যান পরীক্ষক। কী করবেন কিছু বুঝে উঠতে পারেন না।

এখানেই শেষ নয় আরও এক পরীক্ষার্থী উত্তরপত্রে লিখেছেন, অনেক সম্বন্ধ দেখার পর অবশেষে বিয়ের ঠিক হয়েছে তাঁর। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা চান তিনি আরও পড়াশোনা করুন। কিন্তু পড়াশোনার বিষয়টা তাঁর কাছে বেশ কঠিন সে কিছুই মনে রাখতে পারে না। তাই পাশ করতেও পারেনা। তাই পরীক্ষকের কাছে অনুরোধ করেছেন যাতে এইবারটা তাঁকে পাশ করিয়ে দেওয়া হয় শ্বশুরবাড়িতে তবে তাঁর সম্মান থাকবে।

শুধু এই ধরনের আর্জি করেই থেমে থাকেননি তাঁরা, খাতার ভিতর থেকে ১০০, ২০০ এমনকি ৫০০ টাকার নোট রেখে দিয়েছেন সেলোটেপ বা সুতো দিয়ে বেঁধে। যাতে উত্তরপত্র খুলতেই পরীক্ষকের নজরে আসে বিষয়টা।এমনটাই অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন:গেরুয়া শিবিরের সঙ্কট: বেসুরো শিল্পী ঋদ্ধি, গণইস্তফা বারাসত সাংগঠনিক জেলায়














































































































































