স্টেশনের কাছে মন্দির। আর এই মন্দিরের(Temple) জেরে নতুন কোনও উদ্যোগ নিতে সমস্যা হচ্ছে রেলের। ফলস্বরূপ আড়াইশো বছরের পুরনো মন্দির(Temple) সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রেল(Rail) কর্তৃপক্ষ। তবে সেখানেও বিপত্তি, রেলের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠল হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। ‘ধর্ম রক্ষায়’ গণ আত্মহত্যার(Suicide) হুমকি দিয়েছে তারা। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে উঠেছে যে রাজধানী দিল্লি-সহ(Delhi) সংলগ্ন এলাকায় ফের অশান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আগ্রার রাজা কি মান্ডি নামের একটি স্টেশনের কাছেই রয়েছে প্রায় ২৫০ বছরের পুরনো চামুণ্ডা দেবীর মন্দির। এপ্রিলের ২০ তারিখ সেই মন্দির অন্যত্র সরানোর নির্দেশ দিয়ে নোটিস জারি করেন আগ্রার ডিভিশনাল ম্যানেজার আনন্দ স্বরূপ। যেখানে বলা হয়, “যাত্রীদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে মন্দিরটিকে অন্যত্র সরানোর প্রয়োজন রয়েছে। যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মন্দির না সরানো হয় তাহলে রেল নিজেই ব্যবস্থা নেবে।” জানা গিয়েছে, মন্দিরটির পাশাপাশি অবৈধভাবে একটি মসজিদ ও দরগা সরানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেলের তরফে।
আরও পড়ুন:এবার তৃণমূলের আন্দোলন মঞ্চে যাওয়ার ইঙ্গিত অর্জুনের, একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে কটাক্ষ দিলীপের
রেলের এই নির্দেশ প্রকাশ্যে আসার পর সরব হয়ে ওঠে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দল। প্রতিবাদে নর্থ সেন্ট্রাল রেলের আগ্রার ডিআরএম অফিসে হনুমান চালিশা পাঠ করেন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন দু’টির সদস্যরা। পাশাপাশি ওই মন্দিরের মোহান্ত বীরেন্দ্র আনন্দ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “আমরা প্রাণ দেব তাও মন্দিরের একটি ইটও সরাতে দেব না। ডিআরআম জানেন না যে এই মন্দিরটির বয়স দুশো বছরেরও বেশি। আজ যে রেললাইন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন তা ব্রিটিশরা তৈরি করেছিল। স্থানীয়দের থেকে শুরু করে যাত্রীরা পর্যন্ত এখানে প্রারত্যনা করতে আসেন।” পাশাপাশি রেলের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, আইন মেনেই সমস্ত কিছু করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মতো জবরদখলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এপ্রিলের ২০ তারিখ রাজা কি মান্ডি স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের উপর অবস্থিত মন্দিরটিকে অন্য জায়গায় সরানোর নির্দেশ জারি করা হয়েছে। আগ্রা ক্যান্টনম্যান্ট স্টেশনে বেআইনিভাবে রেলের জমিতে তৈরি একটি মসজিদও সরানোর নির্দেশ দিয়েছি আমরা।














































































































































