আদালতের নির্দেশ নিজের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছে পুলিশ, মারাত্মক এই অভিযোগ উঠল কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police)বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি শুধু যে অভিযোগ করেছে তাই নয় পাশাপাশি দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) ক্রাইম ব্রাঞ্চে (Crime Branch) এফ আই আর (FIR)দায়ের করা হয়েছে বলেই ইডি (ED)সূত্রে খবর ।

ঠিক কী হয়েছিল যার কারণে জল গড়াল এতদূর? আদালতের কোন নির্দেশ বিকৃত করার অভিযোগ উঠল কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে?
জানা যায়, বছর খানেক আগে কয়লাকাণ্ডে ব্যবসায়ী গণেশ বাগাড়িয়ার সঙ্গে কয়েকজনের কথোপকথনের একটি অডিও টেপ ভাইরাল হয়। সেখানে ইডি-র কয়েকজন অফিসারের কণ্ঠস্বর নিয়ে অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে কালীঘাট থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়। সেই মামলায় ইডির চারজন অফিসারকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। ইডি দাবি করেছে যে কলকাতা পুলিশের তরফে মেল করে বলা হয়, আলিপুর আদালতের নির্দেশ, ইডির জয়েন্ট ডিরেক্টর কপিল রাজকেই কলকাতায় কণ্ঠস্বরের নমুনা দিতে হবে। অথচ ইডি জানায়, আদালতের নির্দেশ যখন তাঁরা নিজেরা সংগ্রহ করে, তখন তাতে, এমন কোনও কথার উল্লেখ ছিল না। বরং বলা ছিল, জয়েন্ট ডিরেক্টর কপিল রাজ সম্মতি দিলে তবেই তাঁর কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করা যাবে। আর সেই কারণেই কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশকে বিকৃত করার অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সম্প্রতি এ নিয়ে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চে লিখিত অভিযোগ করে ইডি।

তবে ইডির (ED)এই অভিযোগ ওঠার পর কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে গোটা বিষয়টি সবিস্তারে জানান হয়। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, আলিপুর আদালতের থেকে নির্দেশনামা সংগ্রহ করা হয়েছিল। পরে নির্দেশনামা যাচাইয়ের সময় দেখা যায়, জি আর (GR)থেকে যে নির্দেশনামা সংগ্রহ করা হয়, তাতে একটা লাইন ছিল না। বিষয়টি নিয়ে বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিচারক এর কারণ জানতে চান। পরবর্তীতে এই নিয়ে শুনানির পর বিচারক জানিয়ে দেন, GRO তরফে অসত্ উদ্দেশ্যে বাদ দেওয়া হয়, এরকম ইঙ্গিত করার মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। নির্দেশের মূল কাঠামো ও উদ্দেশ্য অপরিপর্তিত রয়েছে।

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব ‘বাগী’ অর্জুনকে দিল্লি তলব, বাংলার বঞ্চনা বুঝছেন বিজেপি সাংসদও: কুণাল
কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে আদালত থেকে নতুন নির্দেশনামা সংগ্রহ করে তা ইডি-কে পাঠিয়ে দেওয়া হয় নিয়ম অনুসারে। অন্যদিকে আবার কলকাতা হাইকোর্টে পাল্টা মামলা দায়ের করেছে ইডি। সেই মামলায় কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করাতে আপাতত ইডি-র অফিসারদের কলকাতা পুলিশের কাছে যেতে হবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।







































































































































