চরম বিদ্যুৎ সঙ্কট! ব্ল্যাকআউটের আশঙ্কা রাজধানী সহ বহু অঞ্চল

0
2

একদিকে তীব্র গরমের দাবদাহ,তাপমাত্রা  ৪০ এর উপরে। শুরু হয়েছে তাপমাত্রার দাবদাহ। ফলে বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা।এমতাবস্থায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে বেড়েছে কয়লার সঙ্কট । ফলেওহারাষ্ট্র, রাজস্থান, গুজরাট , দিল্লি, পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশ শহ বেশ কিছু রাজ্যে বিদ্যুতের ঘাটতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দিল্লিতে, হাসপাতাল এবং মেট্রো অপারেশনের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

আরও পড়ুন:কয়লা সঙ্কট : যাত্রীবাহী ট্রেন বাতিল করে মালগাড়ি চালাচ্ছে রেল


এদিকে বিদ্যুতের সঙ্কটের জেরে ইতিমধ্যেই বেশকিছু যাত্রীবাহী ট্রেন বাতিল করেছে ভারতীয় রেল। ভারতীয় রেলওয়ের নির্বাহী পরিচালক গৌরব কৃষ্ণ বনসাল বলেছেন,তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে কয়লার যোগান স্বাভাবিক রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই বাতিল পরিষেবাগুলি আবার চালু করা হবে । বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা স্থানান্তর করতে যে সময় লাগে তা কমানোরও  চেষ্টা চলছে।ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে রেলওয়ে তার বহরে আরও এক লক্ষ ওয়াগন যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে। দেশের প্রায় ৭০% বিদ্যুৎ উৎপাদন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে। ভারতের বেশ কয়েকটি অঞ্চল ব্ল্যাকআউটের মুখোমুখি হচ্ছে।

কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি? ভারতের অনেক অংশে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। ইতিমধ্যেই আবহাওয়া বিভাগ তাপ-প্রবাহ সতর্কতা জারি করেছে। মার্চ মাসে দেশের গড় তাপমাত্রা প্রায় ৯২ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস)-এ পৌঁছেছিল, যা ১৯০১ সালে কর্তৃপক্ষ ডেটা সংগ্রহ শুরু করার পর থেকে এই মাসের রেকর্ডে সর্বোচ্চ।

বহু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রেই রয়েছে আর মাত্র একদিনের কয়লা। পরিস্থিতি যা, তাতে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে উৎপাদনের ব্যাপক ঘাটতি হতে পারে। আর তার জেরে আঁধারে ডুবতে চলেছে দিল্লি । এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন দিল্লির বিদ্যুৎমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। এই পরিস্থিতিতে রাজধানীর বহু সরকারি হাসপাতাল ও মেট্রো পরিষেবাও ব্যাহত হতে পারে দিল্লিতে।