চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ধৃত শান্তি সুরানাকে গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, বেছে বেছে বিত্তশালীদেরই টার্গেট করেছিলেন শান্তিলাল । টোপ দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে জমি কিনতেন শান্তিলাল। এরপর সেই জমি বন্ধক দিয়ে ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতেন। ফলে বিত্তশালী আমানতকারী ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানও শান্তিলালের প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন:নাবালিকাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ, আটক ৬ নাবালক
বিত্তশালীদের টোপ দিয়ে তাঁদের মোটা লাভের আশ্বাস দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে শান্তিলালের বিরুদ্ধে। সূত্রের দাবি, বহুদিন ধরেই নিঃশব্দে প্রতারণার জাল বিছিয়ে ছিল সুরানা গ্রুপ ফান্ড। এরপর নিম্ন-মধ্যবিত্তদের আস্থা কুড়িয়ে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় এই সংস্থা। তাঁদের ফিক্সড ডিপোজিটে ১২-১৩ শতাংশ সুদের টোপ দেওয়া হত। সিংহভাগ অর্থই নেওয়া হত নগদে। তার পর বিপুল অঙ্কের নগদ টাকা বড়বাজারে হাওয়ালার মাধ্যমে পাচার হয়ে যেত।
প্রসঙ্গত, ২০০০ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে বালিগঞ্জের বহুতল থেকে গ্রেফতার করা হয় চিটফাণ্ড সংস্থার কর্তা শান্তিলাল সুরানাকে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অন্তত ৯টি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল শান্তি সুরানার বিরুদ্ধে।এরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে বালিগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গেছে ২০০৭ সাল থেকেই রমরমিয়ে এই চিটফান্ডের কার্যকলাপ চলছিল।এই ঘটনায় আর কে কে যুক্ত আছে , এত বিপুল অর্থ তিনি কোথায় রেখেছেন? এসব জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। তাঁর বালিগঞ্জের বাড়িতেও তল্লাশি চলেছে। সেখান থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। যা থেকে প্রাথমিক অনুমান, ওই বিপুল অর্থ হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশি ব্যাঙ্কে পাচার হয়েছে।সোমবার ফের তাকে আদালতে তোলা হবে। তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.