Fire at Tangra:আপাতত আগুন নিয়ন্ত্রণে ,ঘটনাস্থলে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন

0
2

পরিস্থিতি সামাল দিতে একের পর এক ইঞ্জিন(Fire tenders)পৌঁছেছে ট্যাংরার (Tangra) ক্রিস্টোফার রোডে (Christopher Road)। রবিবাসরীয় বিকেলে বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডের (Massive Fire)জেরে আচমকাই শিরোনামে ট্যাংরার(Tangra) ক্রিস্টোফার রোডের দাসপাড়া বসতি। আনুমানিক ৩টে নাগাদ আগুনের লেলিহান শিখা (Massive Fire)দেখা যায়,পাশাপাশি শোনা যায় বিকট শব্দ। অল্প সময়ের মধ্যেই কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় চারপাশ। তবে দমকল আর স্থানীয়দের তৎপরতায় আপাতত আগুন নিয়ন্ত্রণে ।

রবিবার দুপুরে ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডের (Christopher Road) বসতি থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়, তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলে( Fire Department)। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, যে স্থানে অগ্নিকান্ড ঘটেছে সেখানে গাড়ির গ্যারেজ ছিল। চারপাশে টিন এবং অ্যালুমিনিয়ামের ছাউনি, যেখানে ওয়েল্ডিং এর কাজ হয়। আজ সকাল থেকেই গরমের তীব্র দাবদাহের জেরে এমনিতেও লোকজন কম ছিল সেখানে। বেশ কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। এতটাই তীব্র ছিল তার প্রভাব যে দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে বসতির বেশ কয়েকটি ঘর। স্থানীয়দের উপস্থিত বুদ্ধির জেরে আশপাশের বাড়ি ঘর খালি করা হয় এবং দমকল সেখানে পৌঁছানোর আগেই জল এবং বালি ফেলে আগুন(Fire) নেভানোর চেষ্টা করা হয়।

একটি বন্ধ কারখানায় এদিন প্রথমে আগুন ধরে। সেই আগুনই ছড়িয়ে পড়ে বসতিতে। যদিও সেভাবে হাওয়া না থাকায় আগুন দ্রুত গতিতে ছড়াতে পারে নি বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছুটা সমস্যা হয়। প্রাথমিক ভাবে বসতির পাশের আবাসন, গুদামে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। প্রথমে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ২টি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়। এরপর আরও ৩টি ও পরে আরও ৫টি ইঞ্জিন পৌঁছে আগুন অ্যারেস্টের চেষ্টা চালায়। পরবর্তীতে আরও ১০টি ইঞ্জিন পৌঁছে যায়। পাশাপাশি বসতির পাশেই আবাসনের ছাদ থেকে জল দেওয়া হয় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে। দমকলের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেন স্থানিয়রাও।

ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই স্থানীয় বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা (Swarnakamal Saha)নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। দমকল এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলে সম্পূর্ণ পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন তিনি।