নারদ-নারদ: ‘অভিজ্ঞতা’ নিয়ে দিলীপ-সুকান্ত তরজায় সরগরম পদ্মশিবির

0
1

‘অভিজ্ঞতা’ নিয়ে প্রাক্তন আর বর্তমান রাজ্য সভাপতির তরজায় সরগরম গেরুয়া শিবির। ’অনভিজ্ঞ’ বলে কয়েকদিন আগেই রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumder) কটাক্ষ করেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এর উত্তরে রবিবার, মেদিনীপুরের এক অনুষ্ঠানে সুকান্ত বলেন, “রাজনীতির শুরুতে সবাই অনভিজ্ঞ থাকে। সভাপতি হওয়ার সময় আমার সাংসদ পদে আড়াই বছরের অভিজ্ঞতা ছিল। আর সভাপতি হওয়ার সময় দিলীপ ঘোষের সাংসদ হিসেবে অভিজ্ঞতা ছিল মাত্র ৬ মাস-১ বছরের।“ মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট তাঁদের ভিতরের দূরত্ব এখনও মেটেনি।

শনিবারই, সুকান্ত মজুমদারকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু তাতেও যে সম্পর্কের বরফ খুব একটা গলেনি তা বোঝাই যাচ্ছে।

এ বিষয়ে তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, রাজ্যে এখন দুটি বিজেপি- দিলীপ-বিজেপি আর সুকান্ত-বিজেপি। এ বিষয়ে তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, রাজ্যে এখন দুটি বিজেপি- দিলীপ-বিজেপি আর সুকান্ত-বিজেপি। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত গেরুয়া শিবির। বাংলায় উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। কিন্তু মাটির সঙ্গে বিজেপি-র যোগাযোগ নেই। নিজেদের মধ্যে কোন্দল করছে।
দু’দিন আগেই, BJP-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, সুকান্ত মজুমদার অনভিজ্ঞ। ফলে দল থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা-কর্মীদের দল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয়েছে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন দিলীপ। এর জবাবে রবিবার, মেদিনীপুরের ‘মন কি বাত’ প্রচার অনুষ্ঠান থেকে বিস্ফোরক মন্তব্য শোনা গেল BJP-র বর্তমান রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত বলেন, “রাজনীতির শুরুতে সবাই অনভিজ্ঞ থাকে। সভাপতি হওয়ার সময় আমার সাংসদ পদে আড়াই বছরের অভিজ্ঞতা ছিল। আর সভাপতি হওয়ার সময় দিলীপ ঘোষের সাংসদ হিসেবে অভিজ্ঞতা ছিল মাত্র ৬ মাস-১ বছরের।“

দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে রাজ্য সভাপতি করার পরেই বিজেপি শিবিরে আড়াআড়ি বিভাজন হয়ে যায়। কার্যত শিবির ভাগ হয়ে রীতিমতো সংবাদ মাধ্যমের সামনেই একে অপরের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে দুপক্ষ। এরপর নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণার পরেই এই দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়। একের পর এক দীর্ঘদিনের বিজেপি নেতারা দলত্যাগ করেন। এর জন্য সুকান্তের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলে দিলীপ-গোষ্ঠী। এই নিয়ে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যতই বিরোধ মেটানোর চেষ্টা করুক না কেন তা যে কোনও কাজে আসেনি তা এই মন্তব্য, পাল্টা মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট।