লগ্নি,কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বুধবার থেকে শুরু বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন

0
1

আরও লগ্নি, কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের লক্ষ্যে আজ, বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। তার আগে মঙ্গলবার সম্মেলনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্মেলনে আগত শিল্পপতিদের সঙ্গে আলাপচারিতায় দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।মঙ্গলবার বিকেলেই তিনি মোট ৫ দেশের শিল্প প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রাথমিক বৈঠক সারেন তিনি।

আরও পড়ুন:বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন: বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা আগেই এসে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে

করোনা পর্বে দু’বছর বন্ধ ছিল সম্মেলন। ফলে বুধবার থেকে ষষ্ঠ বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য শুরু হচ্ছে। রাজারহাটের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে হবে এই দু’দিনের এই সম্মেলন।মোট ১৪ দেশের প্রতিনিধিরা থাকছেন এই বছরের সম্মেলনে। এরমধ্যে রয়েছে ব্রিটেন, আমেরিকা, ইটালি, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, বাংলাদেশ, ভুটান, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার শিল্পপতিরা।

দেশ-বিদেশ থেকে আসা শিল্পপতি, উদ্যোগপতি এবং অন্যান্য অতিথির দেখভাল কেমন হবে, কোভিড বিধি যাতে ঠিকঠাক মেনে চলা হয়, নিরাপত্তায় যেন কোনও খামতি না থাকে – এই সমস্ত ব্যাপার মুখ্যমন্ত্রী নিজে খতিয়ে দেখবেন। নিরাপত্তাজনিত কারণে বন্ধ থাকছে ইকো পার্ক। তাছাড়া অন্যান্য বিষয়েও নজরদারি করছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এসবের জন্যই ২ দিন রাতে নিউটাউনের কটেজে থাকবেন তিনি।

ইতিমধ্যেই বিদেশি প্রতিনিধিরা শহরে হাজির হয়েছেন। বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণে তাঁদের সঙ্গে একপ্রস্ত বৈঠক সেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী-সহ রাজ্যের শীর্ষ কর্তারা। মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টার ভূমিকায় রয়েছেন অমিত মিত্র। ১৪টি দেশ ছাড়াও অনান্য দেশের প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন এই সম্মেলনে। সূত্রের খবর, সম্মেলনে আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানির আসা কার্যত নিশ্চিত। এ ছাড়া হীরানন্দানি, জিন্দল, চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর কর্ণধারেরা থাকতে পারেন। আসতে পারেন উইপ্রো কর্ণধার আজিম প্রেমজি, রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর মুকেশ অম্বানীও।

এদের প্রত্যেকের সামনে রাজ্য যে বিষয়গুলি তুলে ধরবে তার মধ্যে অন্যতম তাজপুর বন্দর। এছাড়াও তুলে ধরা হবে দেউচা পাচামির মত কোল ব্লকের কথাও। অর্থাৎ এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রীর পাখির চোখ যে কর্মসংস্থান তা আরও একবার তুলে ধরা হবে তাদের সামনে। এরসঙ্গেই বিদেশী বিনিয়োগ যাতে আসে এই রাজ্যে তার জন্য সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হবে রাজ্য সরকারের তরফে।